মুম্বই: নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) গোষ্ঠীকেই স্বীকৃতি (Recognition) দেওয়ায় অনেকটাই কোণঠাসা উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thakre) শিবির। শনিবার উদ্ধব শিবির তীব্র আক্রমণ করেছে খোদ নির্বাচন কমিশনকেই। পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত করার জন্য উদ্ধব শনিবার বিকেলে দলীয় নেতা, কর্মী, বিধায়ক, সাংসদদের জরুরি বৈঠক (Emergency Meeting) ডেকেছেন। বান্দ্রায় উদ্ধবের বাড়ি মাতশ্রীতে ওই বৈঠক বসবে।
এই প্রথম ঠাকরে পরিবারের হাতছাড়া হল শিবশেনা। ১৯৬৬ সালে বালাসাহেব ঠাকরে (Balasaheb Thakre) শিবসেনার (Shivsena) প্রতিষ্ঠা করেন। ভূমিপুত্রদের মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যেই বালাসাহেব শিবসেনা তৈরি করেন। বালাসাহেবের মৃত্যুর পর শিবসেনার রাশ তাঁর বড় ছেলে উদ্ধবের হাতে যায়। সেই থেকে শিবসেনায় উদ্ধবই ছিলেন শেষ কথা। কিন্তু গত বছর একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) গোষ্ঠী বিদ্রোহ করায় শিবসেনার তাল কেটে যায়। দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে দলের নাম এবং প্রতীক (Name and Symbol) কারা ব্যবহার করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্বাচন কমিশনে দুই গোষ্ঠীই নিজেদের প্রকৃত শিবসেনা (Real Shivsena) বলে দাবি করে। অবশেষে শুক্রবার কমিশন তার ৭৮ পাতার রায়ে জানায়, দলের নাম এবং তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহারের অধিকার পাবে শিন্ডে গোষ্ঠী। এই রায়ে তাদের বিপুল জয় দেখতে পাচ্ছে একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠী। কমিশনের যুক্তি, তারা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাদের রয়েছে, সেটাই বিবেচনায় রেখেছে। দেখা গিয়েছে, ৫৫জনের মধ্যে ৪০জনেরই সমর্থন রয়েছে শিন্ডের দিকে। ১৮জন সাংসদের মধ্যে ১৩জনই শিন্ডের পক্ষে।
আরও পড়ুন: Nawsad Siddique: রাজবন্দির মর্যাদা চান না নওশাদ, সাধারণ বন্দি হিসেবেই থাকতে চান
নির্বাচন কমিশনের এই রায়কে উদ্ধব গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে ব্যাখ্যা করেন। পক্ষান্তরে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে কমিশনের এই রায়কে মানুষ এবং সত্যের জয় বলে অভিহিত করেন।
শিবসেনার প্রধান জোটসঙ্গী এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার মনে করেন, এই রায় মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের উপর বড় কোনও প্রভাব ফেলবে না। মানুষ নতুন প্রতীককেই মেনে নেবে। প্রবীণ এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার উপর আর কোনও আলোচনার অবকাশ থাকে না।