কলকাতা: রাজ্য জুড়ে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুজোর ধন্যবাদ মিছিল। মূল পদযাত্রা হবে কলকাতায়। দলমত নির্বিশেষে সেই পদযাত্রায় সকলকে যোগ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের পুজো উদ্যোক্তারাও অংশ নেবেন । পড়ুয়াদেরও এই মিছিলে অংশ হতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোড়াসাঁকো থেকে এই মিছিল শুরু হবে। মিছিল শেষ হবে রানি রাসমনি রোডে। মিছিলে গানের পাশাপাশি বিভিন্ন রংয়ের পোশাকে সকলে অংশ নেবেন। শুধুমাত্র কলকাতা নয়,জেলাগুলিতেও এই মিছিলের আয়োজন করা হবে। এই বিষয়ে প্রত্যেকটি জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিছিলকে পুরোপুরি কালারফুল করতে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কালারফুল জামাকাপড় পরে পুজো উদ্যোক্তারা মিছিল করবেন। কালো নয়, ছাতাও কালারফুল হতে হবে বলে আগেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তিলোত্তমা নয়, জেলাস্তরেও একই সময়ে এই মিছিল হবে। নবান্নের গাইডলাইন মোতাবেক পদযাত্রায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের ৫০০ থেকে ৭৫০ জন মহিলা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডারের মহিলারাই নয়, জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীরাও ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। তাঁর কথায়, ‘‘সকলের জন্য রইল আমন্ত্রণ। দলমত নির্বিশেষে পায়ে পায়ে পা মেলাবেন, ঢাকের সঙ্গে, ধামসার সঙ্গে, শঙ্খের সঙ্গে, সর্ব ধর্ম, সর্ব বর্ণ, সর্ব জাতি সকলকে আমন্ত্রণ জানাব। কারণ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’’
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুর্গোৎসব এ বার এক মাস আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। যাঁরা হাঁটতে ইচ্ছুক, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কাছে চলে আসুন। বিশ্ববন্দিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটি ছুঁয়ে শুরু হবে মিছিল।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, সাতটি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে মিছিল শেষ হবে রেড রোডে। যাঁরা হাঁটতে পারবেন না, রেড রোডে বসার জন্য চেয়ার থাকবে। রোদ থাকলে ছায়াতেও চেয়ার থাকবে।