নয়াদিল্লি ও কলকাতা: রামনবমী (Ram Navami) নিয়ে রাজ্যে অশান্তির রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। মঙ্গলবার মমতা সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’র জন্য নবান্নের (Nabanna) কাছে রিপোর্ট চায় অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রক। এর আগেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (WB State BJP President Sukanta Majumder) এক চিঠিতে অমিত শাহকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। তারপরেই রিপোর্ট তলব করে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সুকান্ত চিঠিতে লেখেন, এ রাজ্যে একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে টার্গেট করা হচ্ছে। চিঠিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুকান্ত।
সুকান্তের অভিযোগ, পুলিশ একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে বেছে বেছে হেনস্তা করছে। তাদের গ্রেফতার করছে। প্রকৃত অপরাধীদের দিকে চোখ বন্ধ করে আছে। কারণ তারা অন্য সম্প্রদায়ের। সুকান্ত একথা জানিয়ে অমিত শাহের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের এবং পদক্ষেপের আর্জি জানান। কড়া ভাষায় ডিজিপি মনোজ মালব্যর নাম করে সুকান্ত লিখেছেন, পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার পরিবর্তে পুলিশ নিরীহ মানুষদের গ্রেফতার করছে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari | রাজ্যপালের ভূমিকায় বেজায় চটেছেন শুভেন্দু, কী বললেন জেনে নিন
সুকান্ত বলেছেন, অপরাধীরা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তা বোঝা যাবে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন তিনি। হিংসা ছড়ানো এলাকায় তৃণমূল নেতাদের ঘুরতে দেওয়া হচ্ছে। অথচ পুলিশ বিরোধীদের সেখানে ঘেঁষতে দিচ্ছে না।
প্রসঙ্গত এদিনই রাজ্যপালও হিংসাত্মক রাজনীতি নিয়ে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং নিন্দা করেন। রাজনীতিতে বহু দিন আগেই দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে বলে রিষড়ায় দাঁড়িয়ে এদিন অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার তিনি বলেন, যে কোনও মূল্যে এই দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে। সম্প্রতি রামনবমীর মিছিল (Ram Navami procession) ঘিরে ডালখোলা, শিবপুর, রিষড়ায় যে অশান্তি ঘটছে, সে ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল বলেন, দুর্বৃত্তদের কাউকে ছাড়া হবে না। রাজ্য প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।
এদিন দার্জিলিং-এ জি-২০ বৈঠক (G20 meeting in Darjeeling) থেকে মাঝপথেই কলকাতায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল। বিমানবন্দরে পা দিয়েই তিনি রিষড়া-কাণ্ডের উল্লেখ করে বলেন, যারা আগুন নিয়ে খেলছে, পুলিশ (Police) তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। বিমানবন্দরে থেকেই রাজ্যপাল সরাসরি চলে যান রিষড়ায়। রিষড়া রেল স্টেশনে তিনি রেল এবং রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পুলিশকর্তাদের রাজ্যপালের কড়া নির্দেশ, যে ভাবেই হোক অশান্তি বন্ধ করতে হবে। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। বাংলায় এই অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।