কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইরানজুড়ে আন্দোলনে সামিল প্রতিবাদকারীদের নিরস্ত করতে সেদেশে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে ইরান সরকার৷ বহু ইরানি নাগরিক ইনস্ট্রাগ্রাম ব্যবহার করেন৷ ইনস্ট্রাগ্রামের পাশাপাশি হোয়াটস অ্যাপের উপরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইরান সরকার৷ এছাড়া হোয়াটস অ্যাপে কোনও ছবি পাঠানো যাচ্ছে না৷
এই পরিস্থিতিতে ইরানের নাগরিকদের ইন্টারনেট ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইরান সরকার ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্বের কাছ থেকে গোপন করতে চাইছে লাগাতার দমনপীড়ন চালিয়ে আন্দোলনরতদের দমন করার তথ্য ও ছবি৷
ইন্টারনেট ফের স্বাভাবিক করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্টারনেটে ব্যবহারে সফটওয়্যার সরঞ্জাম রফতানিতে যে নিয়মকানুনগুলি রয়েছে তা সহজ করেছে৷ তবে হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে এখনও কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷
মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্রিঙ্কেন জানিয়েছেন, ইরানের নাগরিকরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারে না থাকেন, সেব্যাপারে সক্রিয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে তথ্য জানাটা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ছে৷
গত সপ্তাহে কঠোর ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানে মাথায় ঠিকভাবে হিজাব না পরায় দায়ে ২২ বছরের তরুণী মাসহা আমিনি নামে এক তরুণী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন৷ এরপর পুলিশি হেফাজতে মাসহার মৃত্যু হয়৷ এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবাদে মুখর ইরানের নাগরিকরা। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল। প্রসঙ্গত, ইরান সরকার হিংসাত্মক উপায়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করাতে এপর্যন্ত বেশ কয়েকজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইরানে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে রফতানি সংক্রান্ত বিধিনিষেধও শিথিল করেছে। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধতাবশত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরান সরকার এখন নিজের দেশের নাগরিকদেরই ভয় পাচ্ছে।