হাওড়া: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchyat Vote) আগে দলের ঝান্ডার পাশাপাশি ডান্ডাকে মোটা আর মজবুত করার নিদান দিলেন সিপিএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammmed Salim) । সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় শুক্রবার সেলিম বলেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে (Panchyat Vote) আমরা ভোট লুঠ হতে দেখেছি। তৃণমূল ভোট করতে দেয়নি। এবার আর তা হবে না। মানুষ জাগছে। পাঞ্ছয়েত ভোটে মানুষের প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। আপনারা কেবল লাল ঝান্ডার পাশাপাশি ডান্ডাকেও মোটা আর মজবুত করে রাখুন, তাতেই কাজ হবে।
সেলিম বলেন, আমরা বহুদিন ধরে বলে এসেছি, পঞ্চায়েতে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা কামানো হয়েছে। বিজেপি এতদিন চুপ করে ছিল। আমরা যেই বললাম, চোর ধরো জেল ভরো, তখনই বিজেপি (BJP) নড়েচড়ে বসল।
সেলিমের মতে, আসলে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। যাহাই ছাপ্পান্ন, তাহাই নবান্ন। তৃণমূল বিপদে পড়লে বিজেপি বাঁচাবে, আর বিজেপি বিপদে পড়লে তৃণমূল (TMC) বাঁচাবে। তাই আগামিদিনে ছাপ্পান্ন আর নবান্ন দিয়ে কিছু হবে না। তিনি বলেন, রাজ্যপালরা কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন : Sari And Sarna: সারি ও সারনা ধর্মকে পৃথক ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব
সিপিএম (CPIM) নেতা বলেন, ছাপ্পান্ন আর নবান্ন, দুজনেই বলেছিল, লাল লাল হটাও, দেশ বাঁচাও। লাল হটেছে। দেশ কিন্তু বাঁচেনি। তাই দেশ বাঁচাতে লাল ঝান্ডাকে মজবুত করতে হবে। সেলিমের দাবি, মানুষ ভয় ভেঙে এখন জাগছে, তাই গ্রামে গ্রামে চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগানে মানুষ এগিয়ে আসছে। আর ওরা ভয় পাচ্ছে। হাওড়া পুরসভায় দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতায় ভোট হচ্ছে না। সেলিম বলেন, আমরা হাওড়াতেও পুরভোটের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি চ্যালেঞ্জ নাও, নির্বাচনের ডাক দাও।হাওড়া শহরে সারা ভারত খেতমজুর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। এদিন ছিল সম্মেলনের শেষ দিন।
হাওড়ার বিজয়ানন্দ পার্কে প্রকাশ্য সমাবেশে সেলিম ছাড়াও ভাষণ দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, বিজয় রাঘবন সহ সংগঠনের অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।