রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গেল।
হাতে মাত্র চার মাস। আগামী বছরের শুরুতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। মার্চ-এপ্রিল মাসে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। আগামী কাল, বুধবার আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করানো হবে। বিরোধীরা অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি তুলেছে।
কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এখনই হাওড়া পুরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। ওই পুর এলাকার ৫০টি ওয়ার্ড ভেঙে ৬৬টি ওয়ার্ড করার কাজ চলছে। তার এলাকা ও আসন বিন্যাসের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন SC on Primary Teachers: প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
সব রাজনৈতিক দলের কাছেই পাখির চোখ এবারের পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কাছে পঞ্চায়েত ভোট কঠিন চ্যালেঞ্জ। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে সর্বত্র বুথস্তরে সংগঠনই গড়ে তুলতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল সব বিরোধীরাই। গায়ের জোরে ও পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়নই জমা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। তাই পঞ্চায়েত ভোটও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর দাবি তোলা হয়। তৃণমূলের একাংশ দলের অভ্যন্তরে বলেছিল, এমনিতেই পঞ্চায়েতে জয় পাওয়া যেত। গা জোয়ারির কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না।
গত চার বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। এখন শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে গরু পাচার পর্যন্ত নানা দুর্নীতি, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নাস্তানাবুদ রাজ্যের শাসকদল। বিশেষ করে চাকরিতে টাকা নিয়ে নিয়োগের অভিযোগ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ একাধিক শিক্ষাকর্তার গ্রেফতারের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শাসক তৃণমূল। আবার বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ দিন পরে বামেদের কর্মসূচিতে ভিড় বাড়ছে। পায়ের তলায় জমি পাওয়ার আশায় উজ্জীবিত এই রাজ্যে বিধায়ক শূন্য বামেরা। নভেম্বর মাসেই রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প আবার শুরু হতে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ক্যাম্প করে শাসকদল গ্রামের মানুষকে কাছে পেতে চাইছে।