মাথাভাঙা: কীর্তন শুনে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Accident) প্রাণ হারাল এক কিশোরী সহ ৪। এছাড়াও গুরুতর জখম ৩। রবিবার মধ্যরাতে মাথাভাঙ্গা জামালদাহ রাজ্য সড়কের পাইকারটারি সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার জেরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাসন্তী বর্মন (৪০)। বাকি তিনজন মেনকা বর্মন (৩৫), মনীষা বর্মন (১২), অনিতা বর্মনকে (৩২) স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার মাঝরাতে কীর্তন শুনে একটি টোটো করে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন ৭ জন মহিলা। সেই সময়ই জামালদহের দিক থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে টোটোটিকে। ধাক্কার চোটে যাত্রী সমেত রাস্তার পাশে উল্টে যায় টোটোটি। টোটো থেকে সাত জনই ছিটকে পড়েন রাস্তায়।আর্তনাদ শুনে আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ততক্ষনে প্রাণ হারিয়েছেন বাসন্তী বর্মন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং দমকলকে। ৭ জনকেই প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।বাকি তিনজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর টোটো চালক পালিয়ে যায়। ট্রাকটিকে পুলিশ আটক করলেও তার চালক পলাতক।
আরও পড়ুন: Premiere League: লিভারপুলের ৭ গোল! অপরিসীম লজ্জায় ডুবল টেন হাগের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই এলাকায় রাতে ট্রাক চলাচল করে বেপরোয়া গতিতে। রাতে সেখানে ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলেনা এমনকি পুলিশের টহলদারিও চলে না। শুধু রাতেই নয় দিনের বেলা তেওএলাকায় ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মানতে রাজি নয়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত টোটো এবং ট্রাক চালকও খোঁজ পায়নি পুলিশ। জেলা পুলিশের এক করতে জানান, ময়না তদন্তের পর দেহগুলি পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকালে গ্রামের লোকজন বিক্ষোভও দেখান