বিরোধীদের অভিযোগ, গত ১১ বছরে তৃণমূল জমানায় পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দুর্নীতির কারণেই একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররা রাজ্যের জেলায় জেলায় তদন্ত শুরু করেছেন। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের দুর্নীতির পাশাপাশি কৃষক, খেতমজুর এবং গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের নানা দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে সিপিএম আগামী মাসের গোড়া থেকেই আন্দোলনে নামছে। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাঠা। ২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে ওই জাঠা।
আগামী বছরের গোড়াতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটকে পাখির চোখ করে সিপিএম এবার গ্রামে গ্রামে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরে তীব্রতা বাড়াতে চাইছে। রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বের পর্যবেক্ষণ হল, গ্রামে গঞ্জে এখন বাম সমর্থকদের ভয় অনেকটা ভেঙেছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে এখন সাধারণ মানুষও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বাম নেতাদের দাবি, জেলায় জেলায় তাঁদের বিভিন্ন গণ সংগঠনের নানা কর্মসূচিতে ভালো সাড়া মিলছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই নেমে পড়তে চায় সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কয়েকদিন আগেই বলেছেন, বিপ্লবের মাস নভেম্বরে রাজ্যের প্রতিটি কোণায় কোণায় লাল ঝান্ডা উড়বে। বাম কৃষক নেতাদের আরও দাবি, নভেম্বরের ওই জাঠাতেও ব্যাপক সাড়া পড়বে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ওঝার খপ্পরে পড়ে বেঘোরে মৃত্যু সাপে কাটা ১০ বছরের শিশুর
পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার সভাপতি বিপ্লব মজুমদার বলেন, আমাদের জাঠার মূল স্লোগান হবে, চোর তাড়াও, গ্রাম বাঁচাও। তৃণমূল রাজত্বে পঞ্চায়েত লুঠেরাদের দখলে চলে গিয়েছে। শহরে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা মিলছে। এই দুর্নীতি গ্রামে আরও জাঁকিয়ে বসেছে। গ্রামে গ্রামে নতুন স্বৈরতন্ত্রের জন্ম হয়েছে। আমরা সেই গ্রামীণ স্বৈরতন্ত্রের অবসান চাই।
আরও পড়ুন: Eknath Shinde: বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শিণ্ডে শিবিরের ২২ জন বিধায়ক, দাবি সামনায়
কৃষক সভার সভাপতি বলেন, রাজ্য সরকার দাবি করে, বাংলায় কোনও কৃষক আত্মঘাতী হননি। অথচ সরকারেরই পুলিশ আরটিআই মামলায় স্বীকার করেছে, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই ১২২ জন কৃষক আত্মঘাতী হন অভাবের কারণে। গ্রামে গ্রামে একশো দিনের কাজ বন্ধ।
বাম নেতৃত্ব জানান, ১ নভেম্বর উলুবেড়িয়ায় এক সমাবেশের মাধ্যমে ২০ দিনের ওই জাঠা শুরু হবে। সমাবেশে ভাষণ দেবেন সূর্যকান্ত মিশ্র, অমল হালদার, বিপ্লব মজুমদার প্রমুখ।