আগামী সোমবার থেকে কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি কেন্দ্র থেকেই কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে এবার থেকে আর ভ্যাকসিন এর জন্য পুরো নিগমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বুকিং করতে হবে না। এতদিন পর্যন্ত ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য কলকাতা পৌরনিগমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বুকিং করতে হতো। এই বুকিং পদ্ধতি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। এবার থেকে ৪৫ বছরের ঊর্ধে যেকোনো বয়সী মানুষ গেলেই তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগামী সোমবার সকাল ন’টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেওয়া হবে করোনার প্রথম ডোজ। দুপুর ১ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দেওয়া হবে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ।
তবে সব সুপার স্প্রেডারদের টিকা দেওয়া হবে শুধুমাত্র কলকাতা পৌরনিগমের মেগা সেন্টারগুলি থেকেই বলে জানালেন কলকাতা পুরসভার বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি, হোয়াটস অ্যাপ বুকিংয়ের মাধ্যমে করোনার টিকা দেওয়া হবে সেই সমস্ত মানুষজনকে, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন নিতে চান না ও ড্রাইভ ইন ভ্যাকশিনের মাধ্যমে টিকা নিতে চান। যারা স্লট বুকিং করে ভ্যাকসিন নিতে চান, তাঁরা রক্সি সিনেমা হল, বিধান শিশু উদ্যান, সাউথ সিটিতে এসে টিকা নিতে পারেন। ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিন প্রোগ্রামিং যেমন কোয়েস্ট মলে চলছিল তেমনি চলবে, বলে জানালেন ফিরহাদ হাকিম।
- তিনি জানান, যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের চাহিদা ছিল তার থেকে অনেক কম সংখ্যক ভ্যাকসিন এসেছে রাজ্যে। কলকাতা পৌরনিগম রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন জানিয়েছে। যত বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কলকাতা শহরে ততো বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। ভারতবর্ষে যতগুলি শহর আছে তার মধ্যে কলকাতায় সব থেকে এগিয়ে করোনার টিকাকরনে।
ফিরহাদ হাকিম এদিন আরও বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে অনেকেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে নানারকম অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন এই ভ্যাকসিন নিলে মানব শরীরে প্রজনন তন্ত্র বিকল হয়ে যেতে পারে। কেউ কেউ আবার বলছেন এই ভ্যাকসিন নিলে আয়ু কমে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়া এই সমস্ত ভ্যাকসিন কখনোই মানব শরীরে ক্ষতি করতে পারে না। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি শুরু হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে এবং যে বা যারা এ ধরনের বিভ্রান্তি রটাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমের আওতায় অভিযোগ করার মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’