কলকাতা: ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi) কিন্তু বাঙালিদের কাছে বিশেষভাবে এক পার্বণ। মহালয়ায় যেমন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দান করা হয় এইদিন চৌদ্দপুরুষের উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালানো হয়। দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে এই চতুর্দশী তিথিতেই পালিত হয় ভূত চতুর্দশী।
হিন্দু শাস্ত্র মেনে, অনেকেই এই দিনটিতে বাড়িতে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালান এবং চোদ্দরকমের শাক খেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকের কাছেই হয়তো এই রীতির কারণ অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোনও বিশ্বাসে ভর করে এই নিয়ম পালিত হয় ঘরে ঘরে।
আরও পড়ুন: ভূত চতুর্দশীর রাতে এই নিয়ম মানেন তো?
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে, এদিন মৃত পূর্ব পুরুষরা মর্ত্যে আসেন৷ তাঁদের খুশি করতে এবং অতৃপ্ত আত্মাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতেই কিছু প্রথা মানা হয়। সেই প্রথারই অংশ চোদ্দ শাক খাওয়া ও চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো। হিন্দুদের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ আকাশ, মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি- প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই মিশে থাকেন পূর্বপুরুষরা।
সংগ্রহ করা ১৪ রকমের শাক মৃত ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শৌলফ, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী- মূলত এই ১৪ রকমের শাক রান্না করা হয়। ১৪ শাক ধুয়ে সেই জল ছিটিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির প্রতিটি কোণে। একই সঙ্গে প্রেত ও অশুভ শক্তি দূর করতে এই দিন সন্ধেয় বাড়িতে ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকেন বাঙালি গৃহস্থরা।
অন্য খবর দেখুন: