কৃষ্ণনগর: মা আনন্দময়ী (Maa Anandamayee Kali) চতুর্ভূজা রূপে পূজিত হন। নদিয়ার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি (Krishnanagar Rajbari) কালীমন্দিরের আনন্দময়ী মায়ের রয়েছে কিছু বিশেষত্ব। এই মন্দিরে গর্ভগৃহে হাঁটু মুড়ে যোগাসনের শুয়ে আছেন মহাদেব। মহাদেবের বুকের উপর পদ্মাসনে বসে আছেন মা আনন্দময়ী। কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় বাহাদুর ১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দির স্থাপন করেন। শোনা যায় গিরিশ চন্দ্র রায় তন্ত্রসাধক ছিলেন এছাড়াও মন্দিরের সেবায়েত হিসেবে নাম উল্লেখ আছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বর্তমান বংশধর শ্রী সৌমিশচন্দ্র রায়ের।
গঠনশৈলীর দিক থেকে মা আনন্দময়ী মাতার মূল মন্দিরটিকে এক রত্নশালির মন্দির বলা যেতে পারে , মন্দিরের গর্ভগৃহে পঞ্চমুন্ডের আসনের উপর বেদিতে যোগাসনে হাঁটু মুড়ে শুয়ে আছেন শ্বেত পাথরের মহাদেব , মহাদেবের বুকের উপর পদ্মাসনে আসিনা দেবী আনন্দময়ী , কষ্টি পাথরে নির্মিত মা আনন্দময়ী এখানে চতুর্ভূজা রূপে পূজিত হন। প্রায় সাড়ে তিন ফুটের কাছাকাছি উঁচু এই দেবীর মূর্তি চতুর্ভূজা। এছাড়াও মন্দিরে রয়েছে ছোট কালী মূর্তি দেবী শীতলা ও অন্যান্য দেবদেবী বিগ্রহ। আনন্দময়ী মায়ের ভোগ বিশেষত্ব রয়েছে এখানে আঁশ যুক্ত মাছ দিয়ে মাকে প্রতিদিন ভোগে দেওয়া হয়। যদি এমন পরিস্থিতি কখনও হয় যে বাজারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না সেখান মাছের আঁশ দিয়ে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ধনতেরসে ভুলেও কিনবেন না এইসব জিনিস, রুষ্ট হবেন মা লক্ষ্মী
অনেকে মনে করেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে স্বপ্নাদেশেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলেও মনে করা হয়। শোনা যায় আগে মায়ের গায়ে কোন পরনে বস্ত্র ছিল না। এরপর ভক্তদের অনুরোধে মাকে বস্ত্র পড়ানো হয়। কৃষ্ণনগর বাসিত বটেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা আসেন এবং তাদের কাছে আনন্দময়ী তলা খুব জাগ্রত। নিত্যদিন পুজো তো হয়েই থাকে তবে কালীপুজোয় বিশেষ পুজা অর্চনা হয় এই আনন্দময় তলায়। মা আনন্দময়ীর কাছে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। তাই ভক্তেরা দূর থেকে মা আনন্দময়ী পুজো দিতে দূর থেকে আসএন।
আরও অন্য খবর দেখুন