শহরের চেনা কংক্রিটের ঘোরাটোপ থেকে দূরে অফবিট ঠিকানা খুঁজেন। তাহলে আপনার ডেস্টিনেশ উত্তরবঙ্গ (North Bengal )। এখানে এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে ২ থেকে ৩ দিনের রাত্রিবাস আপনার সমস্ত একঘেয়েমি কাটিয়ে দিতে পারে। সবুজ ঘেরা পাহাড়া দূরে শীতল স্নিগ্ধ কাঞ্চনজঙ্গা, প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের কাছে এই জায়গা অবশ্যই ভালোলাগার মতো।
দারাগাঁও
কয়েকের ছুটি থাকলেই হলো, ঘুরে আসুন দারাগাঁও (Daragaon) থেকে। কয়েকের ছুটি থাকলেই হলো, ঘুরে আসুন দারাগাঁও থেকে। ছোট্ট পাহাড়ঘেরা এই এলাকা এককথায় অনবদ্য। গ্রাম ঘিরে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পাইন গাছ। পাহাড়ের ঢালের এই গ্রাম থেকে নীচে উঁকি দিলেই নজরে পড়বে তিস্তা। কালিম্পং (Kalimpong) থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দারাগাঁও গ্রামটি। মন মাতানো অর্কিড দেখতে হলে এই গ্রামে আপনাকে যেতেই হবে। শান্ত প্রকৃতির বুকে এই রঙবেরঙের ফুল, যেন দারাগাঁওয়ের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। এই দারাগাঁও গ্রামটি আরও বিখ্যাত হয়েছে সিঙ্কোনা গাছের জন্য। পাহাড়ি গ্রামের পথের ধারে সারি দিয়ে রয়েছে সিঙ্কোনা গাছ। মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে এখান থেকে দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা।
সিলারি গাঁও
কালিম্পং-এর ছোট পাহাড়ি গ্রাম সিলারি গাঁও (Sillery Gaon)। এই গ্রামের মুল আকর্ষণ হল কাঞ্চনজঙ্ঘার মনমুগ্ধকর দৃশ্য। হোটেল থেকেই দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি নিলে পেডং পেরিয়েই সিলারি গাঁও। এখানকার শান্ত স্নিগ্ধ কোলাহল মুক্ত পরিবেশ , সবুজ গাছ-গাছালী দ্বারা ঘেরা উচু উচু পাহাড় , পাখিদের ডাক আকৃষ্ট করে তুলবে আপনাকে। দেখতে পারবেন ৩০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মনেস্ট্রি। তাতে বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের আঁকা ছবি।
রামধুরা
সিকিম (Sikkim) ও পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মাঝে অবস্থিত এই গ্রাম। পাহাড় ঘেরা এই গ্রামের পাশ দিয়ে তিস্তা কুলকুল গতিতে বয়ে যায়। কালিম্পং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামধুরা (Ramdhura)। দু’দিকে সারি সারি পাইন গাছ। তার মাঝখান দিয়ে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৫৫০০ ফুট ওপরের রয়েছে গ্রাম রামধুরা। ট্রেক করতে যারা ভালবাসেন তাঁদের কাছে এ এক স্বর্গরাজ্য। প্যারাগ্লাইডিং, বার্ডওয়াচিংও কিন্তু করতে পারেন এখান থেকে।
ছাওয়াফেলি
চারপাশে চা-বাগানের অপরূপ সবুজ বিস্তার। চা-বাগানের কিছুটা দূর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অপরূপা কুর্তি নদী। তার পিছনে নীল পাহাড়। এ জায়গার নাম হল ছাওয়াফেলি!গাছের ছায়া পড়ে চা-বাগানে, আর মেঘের ছায়া নদীতে। এখানে খুব ভোরে আর বিকেলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর, ময়ূরী আসে। চা গাছের ঝোপে এদের বাসা। ঘণ্টা দুই থাকলেই অনেক কিছু পাওয়া যাবে। তবে হ্যাঁ, এখানে দিনের বেলাতেও হাতির দর্শন পাওয়া যায়। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। এখানে আসতে হলে আপনাকে নিউমাল জংশনে নামতে হবে।