সপ্তাহন্ত বলে কথা! ডেট নাইটের প্ল্যান, কিংবা রবিবারে নিছক বন্ধুদের সঙ্গে গেট টুগেদার অথবা কোনও অনুষ্ঠান, কী পড়বেন কী সাজবেন সব ঠিকই ছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে মাটি করল আচমকা গজিয়ে ওঠা ব্রণ। কেন হল ভাবছেন? ব্রণ হওয়ার একাধিক কারণ থাকে পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে শরীরের ভিতরে কোনও অসুখ বাসা বাঁধার সঙ্কেত হতে পারে এই ব্রণ। সেক্ষেত্রে ব্রণ সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন। তবে তার এই হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ব্রনতে সায়েস্তা করতেএই কাজগুলো করতে পারেন-
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড (Salicylic Acid) ব্যবহার করতে পারেন
জেল, ক্রিম কিংবা সিরাম হিসেবে যে কোনও ওষুধের দোকানে এই স্যালিসাইলিক অ্যাসিড পেয়ে যাবেন। এই স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে, ত্বকের ওপরের স্তরে জমে থাকা মৃত কোষ পরিষ্কার করে তাড়াতাড়ি ব্রণ সারিয়ে তোলে। আসেপাসে নতুন করে ব্রণর গজিয়ে ওঠা আটকায়। তবে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড লাগালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় তাই এই ক্ষেত্রে নিয়ম করে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে।
পিম্পল প্যাচেস (Pimple patches)
রাতারাতি ব্রণ সারাতে এই পিম্পল প্যাচ ভীষণ কার্যকরী। এই প্যাচগুলি বিশেষ ধরনের হাইড্রোকোলয়েড পদার্থ দিয়ে তৈরি যা ব্রণর ভেতরে জমে থাকা পুঁজ শুষে নেয়। এর পাশাপাশি এতে অন্যান্য অ্যান্টি অ্যাকনে উপকরণ যেমন স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, টি ট্রি অয়েল ও ব্রণ জ্বালা ভাব কমাতে সেন্টেল্লা থাকে। ব্রণ হলে বারবার ব্রণর জায়গায় হাত চলে যায় আমাদের। এর ফলে জ্বালা বা চুলকানি আরও বাড়তে পারে। এখানেই শেষ নয় এই ব্রণতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ত্বকের অন্য জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এই পিম্পল প্যাচ থাকলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন এবং মাস্কে ঘষা লাগার সম্ভাবনাও থাকবে না।
বেনজয়েল পেরোক্সাইড(Benzoyl Peroxide)
স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো এই রাসায়নিকও ক্রিম, জেল, ক্লেনজার কিংবা স্পট ট্রিটমেন্টর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে ব্রণ হয়ে পুঁজ জমলে অ্যান্টিমাইক্রোবায়েল হিসেবে একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই বেনজয়েল পেরোক্সাইড। এটা সংক্রমণকারী ব্যাক্টেরিয়াকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। পাশাপাশি রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে ব্রণর আকার ছোট করে দেয়। তবে স্যালিসাইলিকের মতো এই বেনজয়েল পেরোক্সাইড মুখে লাগালে ত্বক শুষ্ক হয়ে চামড়া ওঠার মত অবস্থা হয়। তাই এর ব্যবহার অত্যন্ত সতর্কভাবে করতে হবে। এই বেনজয়েল পেরোক্সাইডের ব্লিচিং ক্ষমতা এমন কাপড়কেও ব্লিচ করে দিতে পারে।
ইন্ট্রালেসন্যাল স্টেরয়েড (IntraLesional steroid) (শুধুমাত্র চিকিৎসকের দেখরেখেই এটা ব্যবহার করা উচিত)
এই আইএলএস(ILS) এক ধরনের ইঞ্জেকশন, এর মাধ্যমে চিকিৎসক খুব অল্প পরিমানে ট্রায়ামসিনোলোন অ্যাসিটেট(triamcinolone acetate) নামের স্টেরয়েড(steroid) ব্রণতে ইঞ্জেক্ট করেন। আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যেই কাজ করতে শুরু করে এই স্টেরয়েড। এতে ব্রণ সেরে যাওয়ার পর কোনও পিগমেনটেশন বা স্কার(pigmentation & scar) থাকে না।
তবে এই সবগুলো সাময়িক। ব্রণ বার বার হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। ডার্মেটোলজিস্ট(dermatologist) আপনার মেডিকেল হিস্টরি (medical history) দেখে ব্রণর কারণ বুঝে সঠিক চিকিৎসা করতে পারবেন। এতে ব্রণর সমস্যার স্থায়ী সমাধানও পেয়ে যাবেন।