ওয়েব ডেস্ক: বয়স যত বাড়বে শরীরের প্রতি তত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শরীরের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ থাকার জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন। বয়স বাড়লে শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যেমন পেশি ক্ষয়, বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়া এবং হাড়ের ঘনত্ব কমা। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে, আপনার এমন খাবার খাওয়া শুরু করা উচিত যা আপনার বৃদ্ধ বয়সেও শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশিতে জোড় কমতে থাকে। তাই, খাদ্য তালিকায় প্রোটিন রাখতে ভুলবেন না। শাক সবজির পাশাপাশি প্রতিদিন টক দই, মুসুর ডাল, ডিম বা পনিরের মত খাবারও খাওয়া উচিত। এই খাবার গুলো যেমন শরীরের শক্তি বাড়ায়, তেমনি শর্করা নিয়ন্ত্রিত রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ত্বকের যত্নে গরম মোমই ভরসা! বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
বয়স কম হোক বা বেশি, ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার তালিকায় সকলেরই রাখা উচিত। এর পাশাপাশি, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন কে-ও শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টি উপাদানগুলি হাড়কে শক্তিশালী রাখতে ও আঘাতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন শাকসবজি, মাছ, তিল এবং ঘি জাতীয় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখুন। ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের পরেও প্রত্যেকেরই তাদের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল খাওয়া দরকার।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়া করা গুরুত্বপূর্ণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটি সময়সূচী ঠিক করুন এনং সঠিক সময় খাওয়া দাওয়া করুন। ক্লান্তি, ভুলে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের দুর্বলতা বার্ধক্যের লক্ষণ। তবে এর পাশাপাশি, এটি প্রায়শই রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাসের লক্ষণও হতে পারে, তাই আপনার খাদ্যতালিকায় বাদাম, বীজ, রঙিন শাকসবজি, হলুদ এবং কারি পাতা বা ব্রাহ্মীর মতো ভেষজ তালিকায় রাখুন।
দেখুন অন্য খবর