ওয়েব ডেস্ক: সামনেই বসন্ত পঞ্চমী। বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে আট থেকে আশি সকলেই। এবছর সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo) পড়েছে দু’দিন। আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি হবে বাগদেবীর পুজো। আর বাঙালির এই পুজোয় দেবীর অন্যতম প্রধান নৈবেদ্য হল কুল (Jujube Fruit)। তাই এখন বাজারে বিভিন্নরকমের কুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। নারকেল কুল, টপা কুল, আপেল কুল ইত্যাদিতে ছেয়ে গিয়েছে বাজার।
বাংলায় প্রচলিত একটি নিয়ম রয়েছে যে, সরস্বতী পুজোর আগে নাকি কুল খেতে নেই। কেন এই নিয়ম? এই নেপথ্যে কি সত্যিই কোনও যুক্তিসম্মত কারণ রয়েছে? চলুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক। সরস্বতী পুজোর আগে কুল না খাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একজোড়া কারণ। প্রথমটি হল পৌরাণিক কারণ, আর দ্বিতীয়টি হল বৈজ্ঞানিক কারণ। এখন একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই একজোড়া কারণ।
আরও পড়ুন: কেমন কাটবে সরস্বতী পুজো, কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
পৌরাণিক কারণ: পুরাণ মতে, একবার ব্যাসদেব সরস্বতী দেবীকে তুষ্ট করার জন্য কঠোর তপস্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তপস্যা শুরুর আগেই বাগদেবী তাঁকে দেখা দেন, যে সময় তাঁর হাতে ছিল একটি কুলের বীজ। এটি দেখেই দেবী ব্যাসদেবকে নির্দেশ দেন, ওই কুলের বীজ পুঁতে দিতে। তিনি ততক্ষণ অবধি ব্যাসদেবকে তপস্যা করার নির্দেশ দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই বীজ থেকে গাছ হয়ে তাতে ফলে ধরে সেই ফল ব্যাসদেবের মাথায় এসে পড়ে। সেই মোতাবেক ব্যাসদেব তপস্যা শুরু করেন। কথিত রয়েছে, এই ঘটনা যেদিন ঘটে সেদিন নাকি ছিল বসন্ত পঞ্চমী। তাই এই দিনের আগে কুল খাওয়ার রীতি নেই বাংলায়।
বৈজ্ঞানিক কারণ: সরস্বতী পুজোর আগে কুল না খাওয়ার নেপথ্যে সেরকম কোনও কারণ না থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মাঘ মাসে কুল পরিপক্ক হয়না এবং স্বাদ টক হয়। সেই কারণে কুল খেলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই পুজোর আগে কুল না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখুন আরও খবর: