কলকাতা: বাঙালি মানেই পায়ের তলায় সর্ষে। সপ্তাহ দুয়েকের লম্বা ছুটি (Holiday) হোক, বা উইকেন্ডের (Weekend) দুদিন, ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাঙালি সদাই প্রস্তুত। আর সামনেই যেহেতু পুজোর ছুটি। তাহলে তো কোনও কথা নেই। অনেকের ব্যাগপত্রও গোছানো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সিকিমের যা অবস্থা, এই পরস্থিতিতে অনেকেরই বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল করতে হচ্ছে। তবে চিন্তা নেই! নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত টিকিট কনফার্ম রয়েছে। সিকিম বা কালিম্পং না গিয়ে ঘুরে আসতে দার্জিলিং (Darjeeling)। যেখানে চা বাগান, জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি নদী আর কাঞ্চনজঙ্ঘার রয়েছে অপার সৌন্দর্য। এমনই ৩টি টি এস্টেস-র সন্ধান রইল আপনাদের জন্য।
মিম চা বাগান- ক্রংকিটের জঙ্গল ছেড়ে সবুজের মাঝে পুজোর ছুটিতে কাটাতে চলে আসুন মিম চা বাগানে। দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই রয়েছে এই চা বাগান। চা বাগানকে ছুঁয়ে যায় মেঘ। যে দিকে তাকাবেন শুধু সবুজ আর সবুজ। সারা বছর নদী, পাহাড়, জঙ্গল, চা বাগানের দেখা মিললেও কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া বেশ মুশকিল। আকাশ পরিষ্কার থাকলে, কুয়াশা না থাকলে তবেই চা বাগানের মাঝ থেকে স-পরিবারে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে পারেন। চা বাগানের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় বন্যজন্তু। সহজেই দেখা মিলতে পারে হরিণের। চা বাগানের উপরে রয়েছে একটি মনাস্ট্রি। আর নিচে রয়েছে খরস্রোতা নদী। জলপাইগুড়ি থেকে মিম চা বাগানের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। দার্জিলিংও মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন: পুজোয় কম খরচে ফরেন ট্রিপ? রইল ৪ ডেস্টিনেশন
মকাইবাড়ি চা বাগান- একসময় এখানে ভুট্টা চাষ হত। সেখান থেকেই নাম মকাইবাড়ি। ১৮৫৯ সালে তৈরি হয় চা বাগান। বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে কার্শিয়াংয়ের মকাইবাড়ি। চা বাগান ছাড়াও আশেপাশের জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী এই অঞ্চলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি জলপ্রাত। চা বাগানের মধ্যে রাত কাটাতে গেলে আপনি এখানকার হেরিটেজ মকাইবাড়ি বাংলো বুক করতে পারেন। তবে, মকাইবাড়ি চা বাগানে থাকার জন্য আরও হোমস্টে রয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটারের পথ মকাইবাড়ি।
রঙ্গারুন টি এস্টেট- পুজোয় অনেকের দার্জিলিং যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে। এ বছর দার্জিলিং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রঙ্গারুন চা বাগানে ছুটি কাটাতে পারেন। প্রায় ৫০ হেক্টর জমি নিয়ে বিস্তৃত এই চা বাগান ১৭৭৬ সালে বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল লর্ড অ্যাডেন অ্যাসলের হাত ধরে জনপ্রিয় হয়। ৬,০০০ ফিট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রঙ্গারুনের পাশেই রয়েছে সিঞ্চল স্যাংচুয়ারি। সামনে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা, নিচে সবুজে ঘেরা চা বাগান আর পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে রংডং নদী। রঙ্গারুন চা বাগানের পাশে রাত কাটানোর জন্য হোমস্টে পরিষেবা পেয়ে যাবেন।
দেখুন আরও অন্য খবর: