কলকাতা: কোভিডের হোম আইসোলেশন নিয়ে বুধবারই নতুন গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (COVID-19 cases)। শর্তসাপেক্ষে আইসোলেশনের সময় ১৪ দিন থেকে কমিয়ে সাত দিন করা হয়েছে (COVID-19 new guidelines )। পরপর তিন দিন জ্বর না এলে, সাত দিনের আইসোলেশনের পর আর কোভিড টেস্ট করারও দরকার নেই (COVID-INDIA)। কিন্তু নিভৃতবাসে কাটানোর সময় কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে যদি বিশেষ কয়েক’টি উপসর্গ দেখা যায়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে।
কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী:
- পরপর তিন দিন যদি ১০০-র উপর জ্বর থাকে।
- শ্বাস নিতে কষ্ট হলে।
- অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা যদি ৯৩%-র নীচে নেমে যায় (এক ঘণ্টার মধ্যে পরপর তিন বার যদি অক্সিজেন মাত্রা ৯৩% নীচে থাকে)।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর নীচে নেমে গেলে।
- বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব করলে।
- মানসিক বিভ্রান্তি, অস্বস্তি, সাময়িক স্মৃতিভ্রমের মতো অস্বাভাবিক আচরণে।
- প্রবল শারীরিক দুর্বলতা বা পেশিতে ব্যথা হলে।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ভারতে মাথাচাড়া দেওয়ার পরেই আগেইর গাইডলাইন পর্যালোচনা করে এদিন নতুন নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Nasal Vaccine: ভারত বায়োটেকের নাসাল কোভিড টিকা ট্রায়ালের অনুমোদন পেল
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুধবার, ৫ জানুয়ারি সকালে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮,০৯৭ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৩৪ জনের। সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্তের থেকেও কেন্দ্রকে বেশি উদ্বেগে রাখবে দৈনিক মৃত্যু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তও ২০০০ ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিপুল সংক্রমণের জেরে করোনাভাইরাসের অ্যাক্টিভ কেস লোড বেড়ে হয়েছে ২,১৪,০০৪। দৈনিক পজিটিভিটির হার ৪.১৮ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার বেড়ে হয়েছে ২.৬০ শতাংশ। একদিনে ৫৩৪ জন সহ দেশে কোভিডে এ দিন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৫১ জন।
আরও পড়ুন : Isolation Guideline: ১৪ নয়, জ্বর না এলে ৭ দিনেই শেষ আইসোলেশন জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,৩৮৯ জন। এ দিন পর্যন্ত দেশে করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ২১ হাজার ৮০৩ জন।
ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তও এদিন ২০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুসারে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২,১৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত ২৪টি রাজ্যে ওমিক্রন পজিটিভ রোগীর সন্ধান মিলেছে। সংক্রমণ শীর্ষে এখনও মহারাষ্ট্র, তার পরেই দিল্লি। আক্রান্তদের মধ্যে ৮২৮ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।