সব বিরোধী দল যদি একজোট হয়ে নির্বাচনে লড়ে তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি-র আসন সংখ্যা পঞ্চাশে নামিয়ে আনা যাবে। গেরুয়া শিবিরকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে এবার পাল্টা আক্রমণে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শনিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে একথা ঘোষণা করে জেডি(ইউ) সুপ্রিমোর বার্তা, আগামীদিনে সর্বস্ব পন করে এই লড়াইয়ে নামব। বিজেপিকে সরাতেই হবে।
আগামীকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুদিনের সফরে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন বিহারের মহাগাটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা। জেডি(ইউ) সূত্রে খবর, ওই বৈঠকের ব্যাপারে কোনওরকম বাছবিচার রাখছেন না নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসতে চান। অবশ্য বিরোধী জোট গঠনের জন্য তিনি সর্বতোভাবে চেষ্টা চালালেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কোনওভাবেই আগ্রহী নন।
বিহারে নীতীশ-লালুর জোড়া ধাক্কা হজম করে এবার পাল্টা চালে মণিপুরের ছয় জন জেডি(ইউ) বিধায়কের মধ্যে পাঁচজনকেই বিজেপিতে টেনে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। টাকার জোরে ওই বিধাযকদের কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জেডি(ইউ) নেতৃত্ব। আর নীতীশ কুমারের কথায়, গোটা দেশ জুড়ে এই বেআইনি এবং অনৈতিক পথে বিধায়ক কেনাবেচার পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। এজন্ই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সব বিরোধীদের একজোট হওয়া প্রয়োজন। আর তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে নেই বলে ঘোষণা করলেও গোটা পাটনা শহর ছেয়ে গিয়েছে পোস্টার-হোর্ডিংয়ে, যার মূল কথা এবার জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে জেডি(ইউ)৷ আবার শহরের কেন্দ্রস্থলে নীতীশ কুমারের ছবি লাগানো বিশাল এই হোর্ডিংয়ে স্পষ্ট বার্তায় জানানো হয়েছে, বিহারে দেখানো হয়েছে এবার ভারতে দেখানো হবে। বুঝ মন যে জান সন্ধান।