‘সরস্বতী কো পটাও,’ পরীক্ষায় সফল হওয়ার এমনই টোটকা বাতলালেন উত্তরাখণ্ডের প্রবীণ বিজেপি নেতা। শুধু সরস্বতী নয়, তাঁর উপহাসের হাত রেখে রেহাই পাননি লক্ষ্মী, শিব ও বিষ্ণুও। বিজেপি নেতার এই ভাষণ ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। হিন্দু দেবদেবী নিয়ে দলেরই দায়িত্বপূর্ণ এক মন্ত্রীর এ জাতীয় মশকরায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
বংশীধর ভগত। উত্তরাখণ্ডের প্রবীণ বিজেপি বিধায়ক। তাই নয়, পুষ্কর সিং ধামাল সরকারের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী। ভগত উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। নৈনিতাল জেলার কালাঢুঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত। এহেন হাইপ্রোফাইল এক নেতার মুখ থেকে এ ধরনের বাচাল কথাবার্তায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিশেষত হিন্দুত্ববাদী এক দলের নেতা দেবদেবী নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করায় দলের ভিতরেও তীব্র নিন্দা চলছে।
আরও পড়ুন: Bank scam: ভারতের জেলে খুন অথবা আত্মঘাতী হবেন, আতঙ্কে নীরব মোদী
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কন্যাসন্তান দিবসের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন বংশীধর ভগত। সেখানে তিনি আচমকাই ঠাট্টার সুরে বলেন, জীবনে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে গেলে সরস্বতীকে পটিয়ে রাখো। আর যদি প্রভূত ধনসম্পত্তি, সমৃদ্ধির মালকিন হতে চাও, তাহলে লক্ষ্মীকে খুশি করে রাখো। উপস্থিত সকলকে হাসতে দেখে এখানেই থেমে থাকেননি ভগত।
তারপরেও তিনি বলেন, একজন দেবতা আছেন না! যাঁর নাম শিব। যিনি হিমালয়ের পাহাড়ে বাস করেন। গলায় জড়িয়ে থাকে একটা সাপ। মাথা থেকে জল বা গঙ্গার ধারা বেরিয়ে আসছে। ঠিক তেমনই আরেকজন দেবতা আছেন, যাঁর নাম বিষ্ণু। তিনি মহাসাগরের নীচে শুয়ে থাকেন। মশকরা করে ভগত বলেন, তাহলে বুঝতেই পারছ, একজন হিমালয়ে, আর একজন অতলে। অতএব এই দুই ভগবানের মধ্যে কোনও যোগাযোগ, সম্পর্ক নেই।
বংশীধর ভগতের যুক্তি, তিনি কন্যাসন্তানের মাহাত্ম্য কীর্তন করতে গিয়ে দেবীদের উপরের স্থানে বসিয়েছেন। তাঁর কথায়, জ্ঞানের জন্য সরস্বতীর আশীর্বাদ, শক্তির জন্য দেবী দুর্গার আশীর্বাদ এবং সম্পদের জন্য লক্ষ্মীর আরাধনা করলেই চলে। আর পুরুষ দেবতা শিব হিমালয়ে এবং বিষ্ণুর অধিষ্ঠান সমুদ্রের নীচে। তাহলে পুরুষ দেবতার ক্ষমতা কী! বোঝাতে চেয়েছেন বলে দাবি ভগতের। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন বহু যুগ ধরেই চলে আসছে।