নয়াদিল্লি: বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi) কী কংগ্রেসে যোগ দেবেন?
তাঁর একের পর এক মন্তব্যে জল্পনা বাড়ছে। শুরুটা হয়েছিল গত লোকসভা ভোটের পর থেকে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের (Loksava Vote) পর থেকে তিনি অনেকবার মন্তব্য করে বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছেন। তাঁর মা মানেকা গান্ধী বর্তমান ক্যাবিনেটে মন্ত্রিত্ব পাননি। পিলভিটের সাংসদ (MP) বরুণ গান্ধীকেও (Varun Gandhi) সরকারে নেওয়া হয়নি। একসময় য়াঁকে উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) বিজেপির (BJP) মুখ্যমন্ত্রী বলে ভাবা হচ্ছিল। সম্প্রতি কালে বরুণ জানিয়েছেন, তি্নি নেহরু বা কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে নন। এবার ব্যতিক্রমী রোগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারে উদাসীনতা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে (Central HealthMinister) চিঠি লিখলেন। বিজেপি সরকারের প্রতি বিজেপি সাংসদের এহেন ভূমিকায় স্পষ্ট, ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে।
জাতীয় কংগ্রেসে একসময় ইন্দিরা গান্ধীর পরবর্তীতে হাল ধরবে বলে ভাবা হয়েছিল বরুণ গান্ধীর বাবা সঞ্জয় গান্ধীকে (Sanjay Gandhi)। রাজীব গান্ধী (Rajiv Gandhi) তখনও রাজনীতিতে নামেনি। পরবর্তীতে ঘটনার ঘনঘটায় একসময় কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী মানেকা গান্ধী (Maneka Gandhi)। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দায়িত্ব নেন কংগ্রেসের। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের প্রথম মেয়াদে মন্ত্রীও হয়েছিলেন মানেকা গান্ধী। নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি যে অভিযোগ করেন তা হল, গান্ধী পরিবারের পরিবারতন্ত্র।
বিজেপি (BJP) সাংসদ (MP) বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi) এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে (Mansukh Mandviya) যে চিঠি লিখেছেন তাতে বলা হয়েছে, ব্যতিক্রমী রোগের শুশ্রুষায় জাতীয় নীতি (National Policy) ঠিক করে অর্থমূল্য সাহায্যের (Financial Assitance) ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২১ সালের মার্চ মাসে তা করা হলেও সেই ঘটনায় এখনও পর্য়ন্ত কেউ কোনও সুবিধা (Benefit) পেল না। বেশ কিছু শিশুর (Child) এখনই তা প্রয়োজন। তিনি লিখেছেন, ২০২২ সালে ওই নীতি সংশোধন করে ঠিক করা হয়, প্রতি গ্রুপকে ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: PMO Joshimath: জোশিমঠ নিয়ে আজই জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর
তিনি বলেছেন, ২০৮ জন এরকম শিশুর এখনই শুশ্রুষার (Treatment) প্রয়োজন। ৪৩২ জন রোগীর জীবন সংশয়ে আছে। এখনই সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তার মধ্যে অধিকাংশই ছয় বছর বয়সের নীচে শিশু। তারা ভুগছে লাইসোসসোমাল স্টোরেজ ডিসঅর্ডার (এলএসডি) রোগে। তার মধ্য আছে গউচার, পম্পে, এমপিএস ১, এমপিএস ১১ ও ফ্যাব্রি রোগ। তাঁর বক্তব্য, দশ জন শিশুর শুশ্রুষার জন্যে অপেক্ষা করে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ফিরোজ বরুণ গান্ধী এই নামে তিনি চিঠি লিখেছেন। সেখানে বলা হয়েছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে (Centre of Exellence) অবিলম্বে তাঁদের শুশ্রুষার ব্যবস্থা করা হোক।