জোশীমঠ: প্রতি বছরের মতো এবারেও অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই শুরু হবে চারধাম যাত্রা (Char Dham yatra)। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নেই খুলে দেওয়া হয় এই চারধামের মন্দিরের দরজাগুলি। সেইমতো এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে চারধাম যাত্রার প্রস্তুতি। কেদারনাথ, বদ্রীনাথ মন্দির কমিটি (Badrinath-Kedarnath Temple Committee) জানিয়েছে, আগামী ২২ এপ্রিল শুরু হবে চারধাম যাত্রা। ওইদিনই গঙ্গোত্রী ধাম এবং যমুনোত্রী ধামের প্রবেশদ্বারগুলি তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বদ্রীনাথ (Badrinath) ধামের দরজা খোলা হবে ২৭ এপ্রিল। আগামী ২৫-২৬ এপ্রিল খোলা হতে পারে কেদারনাথের (Kedarnath ) প্রবেশদ্বার। তবে জোশীমঠে ভয়াবহ ভুমিধসের (Joshimath Landslide) কারণে চারধাম যাত্রায় অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেক পুণ্যার্থী। যদিও পুণ্যার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (CMPushkarSinghDhami)। তিনি বলেন, জোশীমঠের পরিস্থিতির কারণে চারধাম যাত্রা বিঘ্নিত হবে না। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই যাত্রার সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে।
বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার হল জোশীমঠ (Joshimath)। জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই জোশীমঠে একের পর এক বাড়ি, হোটেল, রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে। যার জেরে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। জোশীমঠের পাশাপাশি ফাটল দেখা গিয়েছে কর্ণপ্রয়াগেও। উত্তরাখণ্ডের অন্য দুই শহর মুসৌরি এবং নৈনিতালেরও বহু বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে দাবি। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির অন্যতম পছন্দের জায়গা উত্তরাখণ্ডের এই শহরগুলি। এই বিপর্যয়ের কারণে উত্তরাখণ্ডে এবার বেড়াতে যাওয়া কতটা নিরাপদ হবে, এ নিয়ে চিন্তায় অনেকেই। এই আবহে চারধাম যাত্রার আগে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের আশ্বস্ত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বদ্রীনাথ যাত্রা শুরু হতে এখনও প্রায় ১০০ দিন বাকি। সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন:Vande Bharat Express:এবার হাওড়া থেকে পুরী ছুটবে বন্দে ভারত
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ৩ মে খুলেছিল গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীর প্রবেশদ্বার। গত বছর চারধাম যাত্রায় বিপুল পরিমাণে পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছিল। বদ্রীনাথে সর্বাধিক সংখ্যক দর্শনার্থী ছিল ১৭.৬ লাখ, কেদারনাথে ১৫.৬ লাখ, গঙ্গোত্রীতে ৬.২ লাখ, এবং যমুনোত্রীতে ৪.৮ লাখ। চামোলি জেলার বিখ্যাত শিখ মন্দিরে গত বছর প্রায় ২.৪৮ লক্ষ তীর্থযাত্রী হেমকুণ্ড সাহিব যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্য প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে ৪৫ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী এই অঞ্চলে গিয়েছিলেন।