লাদাখ : হিমালয়ের পশ্চিমের লাদাখ (Ladakh) অঞ্চলে ২০২০ সালে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে লড়াইয়ে অন্তত ২৪ সেনা নিহত হয়েছিল। পরে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয়। এরপর গত বছর ডিসেম্বরে হিমালয়ের (Himalay) পূর্বাঞ্চলে নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত-চীন সেনারা। তবে সেবার কারও মৃত্যু হয়নি। এবার আবারও একবার লাদাখ সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর হাত শক্তিশালী করছে চীন! সেই খবর পাওয়া মাত্রই ভারত ও চীনের সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ (Police)।
গোপন এক গবেষণাপত্রের অংশ হিসেবে অঞ্চলটির পরিস্তিতি মূল্যয়ন করেছে লাদাখ পুলিশ। ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের এক বার্ষিক সম্মেলনে জমা দেওয়া হয় সেই মূল্যয়ন প্রতিবেদনটি। সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে পুলিশের জোগাড় করে আনা তথ্য এবং ভারত-চীন উত্তেজনার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদনটি বানানো। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেছে।
আরও পড়ুনAjith Kumar-Atlee Kumar : অ্যাটলির ছবিতে অজিত কুমার
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,’ওই অঞ্চলে চীন এবং তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে, পিএলএ অর্থাৎ ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ সামরিক অবকাঠামো তৈরি করেই যাবে এবং সংঘাতও ঘটবে।চীন তার নিজের অংশে গোলাবারুদের শক্তি এবং পদাতিক বাহিনী মোতায়েনের সময় পরীক্ষা করছে। উত্তেজনার ধরন বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, প্রতি দুই-তিন বছর অন্তর ঘন ঘন এমন পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা ২০১৩-২০১৪ সাল থেকেই বেড়েছে।’ এ ছাড়াও মূল্যয়ন প্রতিবেদনেও এও বলা হয়েছে, চীনের কাছে ভারত ধীরে ধীরে জমি হারাচ্ছে।
উল্লেখ্য, লাদাখ সীমান্তের একটা বড় অংশ এখন আর নিয়ন্ত্রণে নেই ভারতের। আর সেই জায়গা গুলোই পাহারা দিচ্ছে চীন। হিমালয় অঞ্চলের সেই পয়েন্ট গুলোই তাদের দখলে বলে দাবি করছে। এমনকী এই জোনগুলিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেনা ভারতকেও। এভাবে ভারতের দখলে থাকা জমিগুলি আসতে আস্তে বাফার জোনে পরিণত হচ্ছে এবং এভাবে ভারতের জমি একটু একটু করে গ্রাস করছে চীন।