আগরতলা: রাতারাতি বিপ্লব দেবকে (Biplab Deb) সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (CM) পদে আনা হয়েছিল মানিক সাহাকে (Manik Saha)। ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Assembly Election) এবার বিপ্লবকে সরিয়েই দেওয়া হল। তিনি ভোটে লড়ছেন না। আবার মানিক সাহা আছেন মানেই যে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী এমন নিশ্চয়তাও দেওয়া যাচ্ছে না। চমক রয়েছে নতুন প্রার্থী নির্বাচনেও। সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় ভোটের ময়দান জমজমাট করে তুলেছে বিজেপি।
গত শনিবার বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections) প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে ত্রিপুরা বিজেপি (BJP)। বিপ্লব দেব নেই, কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে শামিল মানিক সাহা। জিতলে হয়তো তিনিই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। অন্তত বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি এই প্রথাই অনুসরণ করে। কিন্তু ত্রিপুরায় খেলা অন্য। এই খেলা জমে গিয়েছে নতুন এক প্রার্থীর নাম ঘোষণায়। তিনি প্রতিমা ভৌমিক (Pratima Bhowmick)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে ধানপুর (Dhanpur) কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে। এরপরেই উঠছে জল্পনা।
ত্রিপুরা বিজেপির তরফে হঠাৎ করেই প্রতিমাকে নিয়ে মাতামাতি চলছে। সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে তাঁর বায়োডাটা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এককালে যে রাজ্যে লালের রাজত্ব ছিল সেখানে পদ্মফুল ফোটানোর আসল কৃতিত্ব সুনীল দেওধরের (Sunil Deodhar)। এই নেতার সঙ্গে বিপ্লব দেবের সম্পর্ক ভালো ছিল না। তার মানে এই নয় যে মানিক সাহার সঙ্গে সুসম্পর্ক। তাঁকেও বিশেষ ভরসা করেন না দেওধর বলে খবর। দেওধর নিজের একটি ‘স্পেশ্যাল’ দল নিয়ে কাজ করেন।
এই দলই প্রতিমা ভৌমিককে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। ১৯৯১ সালে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন প্রতিমা। সাধারণ কর্মী হিসেবে শুরু করে ধীরে ধীরে পদোন্নতি হয়েছে। রাজ্যে দলের মহিলা মুখ হিসেবে দ্রুত উত্তোরণ হয়েছে। এই সমস্ত কিছুই বায়োডেটায় তুলে ধরেছে দেওধরের স্পেশ্যাল টিম। এর পরেই জল্পনা তুঙ্গে। বিপ্লব দেবকে সরিয়ে রাতারাতি মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল, ফলে আবারও মুখ্যমন্ত্রী বদল হলে আশ্চর্যের কিছু নেই। কী হবে তা জানা আর কিছুদিনের ঘটনা।