চণ্ডীগড়: সাধারণ ভাবে সরকারি হাসপাতালে এবং বেসরকারি হাসপাতালে শুশ্রুষার তুলনায় গেলে আলাদা কী প্রথমে নজর কাড়ে। তা হল পেশাদারিত্ব (professional)। বেসরকারি হাসপাতালে পোশাক বিধি মেনে কর্মীরা কাজ করেন। একটা পেশাদার শৃঙ্খলা দেখা যায়। বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে সেটা দেখা যায় না। বেসরকারি ধাঁচে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, কর্মীদের জন্য তাই পোশাক বিধি চালু করার পরিকল্পনা হরিয়ানা সরকারের। সেখানে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না তা চূড়ান্ত। লম্বা নখ, জিন্স, টিশার্ট, স্কার্ট, ভারী গয়না পরা চলবে না। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা, একতা আনার জন্য এই উদ্যোগ বলে দাবি। হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী অনিল বীজ (Hariyana Health Minister Anil Vij )
বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য এই পোশাক বিধি (dress code) চূড়ান্তস্তরে আছে।
মন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, হাসপাতালে কাজের সুবিধার জন্য কিছু বিধি মানা দরকার। যা পেশাদারিত্বের ছোঁয়া দেয়। তিনি বলেন, জিন্সের পোশাক পড়া যাবে না (Funky hairstyles, heavy jewellery, accessories, makeup, long nails during working hours are unacceptable)। প্রত্যেককে নাম লেখা ব্যাজ, কালো জুতো পড়তে হবে। কাঁধ খোলা পোশাক পরা যাবে না। তিনি বলেন, একটি ভালো পোশাক বিধি সংস্কৃতিকে ভালো করবে। এর ফলে শুধু পরিবেশ ভালো হবে তা নয়। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো ধারণা দেবে। পোশাক ভদ্রস্থ হবে (Every employee is expected to wear neat, clean dress and practice good hygiene)। চুল হবে পরিপাটি। এমন হবে না যা রোগীর উপযুক্ত যত্ন করতে কোনও অসুবিধার সৃষ্টি করে।
পাশাপাশি যাঁরা নতুন ট্রেনি হবেন তাঁদের সাদা জামা এবং কালো প্যান্ট পরে আসতে হবে। মন্ত্রীর যুক্তি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে দেখা যাবে, একজন কর্মচারীও এই পোশাক বিধির বাইরে নয়।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: শিল্পপতিরা কি বেছে বেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যেই আসবেন?
হরিয়ানা সিভিল মেডিক্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ খেয়ালিয়া বলেন, পোশাক বিধি হাসপাতালের কর্মচারীদের পেশাদার করে তুলবে। তবে এই বিষয়ে হাসপাতালের এক ডাক্তার বলেন, এই বিধি মানতে হলে রাজ্য সরকারের উচিত কর্মচারীদের অন্তত তিন জোড়া পোশাক দেওয়া। তবে এই নিয়ে বিতর্কও দানা বেধেছে। পোশাক পরা নিজেদের স্বাধীনতা। সেখানে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে একাংশ সরব হয়েছে সরকারি এই পরিকল্পনাকে ঘিরে।