নয়াদিল্লি: একদিকে সীমান্তে (Indo-China Border Dispute) নিযুক্ত করা হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী। অন্যদিকে, সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় গ্রামগুলির উন্নয়ন সাধন এই দুই বিষয়ে জোর দিতে বাজেট বরাদ্দে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মোদ্দা কথা, সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত। ভারতের সীমান্তকে আরও সুরক্ষিত করতে অতিরিক্ত বাহিনী মজুত করা হচ্ছে। বাহিনী মজুতের জন্য ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর জন্য ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যা পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। চলতি অর্থ বছর থেকে আগামী ২০২৫-২৬ সাল পর্যন্ত যা খরচ করা হবে। ইন্দো টিবেটান ব্যাটেলিয়ন পুলিশের সাতটি অতিরিক্ত ব্যাটেলিয়নের (seven additional battalions of ITBP) জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মূলত, ভারত-চীন সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ওই বাহিনী মজুত করা হবে। অতিরিক্ত ব্যাটেলিয়ন ও সেক্টর সদরের জন্য আইটিবিপিতে ৯ হাজার ৪০০ জনের বাহিনী যুক্ত হবে। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে এগুলির কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
চীন সীমান্তে ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) ধরে সাতটি অতিরিক্ত বাহিনী ও একটি সেক্টর হেড কোয়ার্টারতৈরির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাতে ৪৭টি নতুন বর্ডার আউটপোস্ট তৈরি হচ্ছে। ১২টি ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল ধরে তাঁরা ডিউটিতে থাকবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর (Union Minister Anurag Singh Thakur) এই তথ্য জানিয়েছেন। এর জন্য অফিস তৈরি, আবাসন, জমি অধিগ্রহণ ও অস্ত্র কেনার জন্য ১৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৯৬৩ কোটি টাকা বেতন সহ অন্যান্য খাতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Maha Shivratri: ডুয়ার্সের শিবরাত্রি পালনে ভারত ভুটান যৌথ প্রস্তুতি
‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজেস প্রোগ্রাম’ (“Vibrant Villages Programme”)-এরও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যার জন্যে ৪৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সীমান্তে থাকা গ্রামগুলির জন্য নতুন ভাবনা। সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা হবে। ১৯টি জেলা, ৪৬টি সীমান্ত ব্লকে, ৪টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে এটা করা হবে। প্রথম ধাপে ৬৬৩টি গ্রামকে টার্গেট করে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে মহিলাদের স্কিল প্রশিক্ষণ দিয়ে উন্নয়ন ঘটানো হবে। সামাজিক ও স্থানীয় উদ্যোগকে কাজে লাগানো হবে। মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় স্তরে থেকে তাঁরা কাজ করতে পারবেন। ফলে সীমান্ত সুরক্ষায় তা কাজে আসবে। তাঁরা বাইরে কম কাজে যাবেন। এখানে পর্যটনকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্থানীয় ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ‘ওয়ান ভিলেজ ওয়ান প্রোডাক্ট’ (One village-One product) নীতি কাজে লাগানো হবে।