দেরাদুন: জোশীমঠে (Joshimath) ফাটলের মাত্রা কতটা? তা প্রকাশ্যে এল এই প্রথমবার। ভূমি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য দেরাদুনের (Dehradun) শ্রী দেব সুমন উত্তরাখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন বিশেষজ্ঞের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাঁরা বিগত 25 থেকে 28 জানুয়ারির (January) মধ্যে একটি সমীক্ষা স্থল বেছে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এবং তারপর জানান,’জোশীমঠে ২ ফুট চওড়া এবং আধা-কিমি লম্বা ফাটল রয়েছে।’ কর্মকর্তাদের প্রকাশিত এই তথ্যের ফলে জোশীমঠ এলাকার দুর্বলতার চিত্র ফের একবার স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।
চারজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে গঠিত ওই প্যানেলে ছিলেন ডিসি গোস্বামী, ভূগোলের অধ্যাপক: কৃষ্ণ গোস্বামী এবং ভূতত্ত্বের সহকারী অধ্যাপক অরবিন্দ ভট্ট। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার প্যানেলের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমএস রাওয়াতের কাছে সেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এবার এটি উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে পাঠানো হবে। প্যানেলের মতে,’ এই বছরের বর্ষার উপর নির্ভর করছে জোশীমঠের ভবিষ্যৎ ।’ এর সাথে যোগ করে তাঁরা বলেন, জোশীমঠের ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাই এই শহরের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দেওয়াই ভালো।
আরও পড়ুন:Joshimath: এবছর বর্ষার উপর নির্ভর করছে জোশীমঠের ভবিষ্যৎ, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
এদিকে, অন্য এক প্যানেলের ভূতত্ত্ববিদ রীকৃষ্ণ নৌটিয়াল বলেন,’মনোহর বাগে, ফাটলগুলি 2 ফুটের মতো চওড়া, যা একজন ব্যক্তির দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট। এই নির্দিষ্ট স্থানটি জোশীমঠের একেবারে কেন্দ্রস্থল, এই স্থানেই রয়েছে রোপওয়ে। কিছু আগেও এই জায়গাটির ফাটল ভরাট হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আমরা যখন তদন্তে নামি, তখন লক্ষ করি জায়গাটিতে পুনরায় ফাটল দেখা দিয়েছে।’ এছাড়াও কমিটির লোকেরা জানিয়েছে,এনটিপিসির টানেল বোরিং মেশিন-সহ চাপের ফলে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি কাজের ফলে জোশীমঠে যে নৃতাত্ত্বিক চাপ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। যদিও সরকারি কর্তাদের সেই দাবি অধিকার করেছে এনটিপিসি (NTPC)।