সমলিঙ্গে বিয়ে (Same Sex Marriage) সামাজিক স্বীকৃতি (Social Recognition) পাবে কি না, তা বৈধ (Valid) কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র সংসদ (Parliament)। সমলিঙ্গে বিয়ে সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ফের সু্প্রিম কোর্টে (Supreme Court) এ কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শুনতে পারে কি না, তা নিয়েই এদিন প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, সংসদই হল সেই প্রতিষ্ঠান, যারা এই নতুন সামাজিক সম্পর্কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। আর কেউ নয়।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D Y Chandrachud) নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে কেন্দ্রীয় সরকার বলে, সমলিঙ্গে বিয়ে নিছকই শহুরে অভিজাত দৃষ্টিভঙ্গি মাত্র। ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এস কে কাউল, রবীন্দ্র ভাট, হিমা কোহলি এবং পি এস নরসীমা।
আরও পড়ুন: Amartya Sen| জমি বিতর্কে ফের চিঠি অমর্ত্যর, বুধবার জমি দখলের হুমকি বিশ্বভারতীর
মঙ্গলবার সলিসিটর জেনারেল (Solicitor General) তুষার মেহতা বলেন, এই মামলায় যাঁরা যুক্ত, তাঁরা সমগ্র জাতির প্রতিনিধিত্ব করে না। আদালতকে আগে ঠিক করতে হবে, আদৌ তারা এই শুনানি শুনতে পারে কি না। জবাবে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, আদালতের অবশ্যই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে শহুরে অভিজাত দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাখ্যা দিচ্ছে, তা ঠিক নয়। সমলিঙ্গে বিয়ের বিষয়টি কোনও ব্যক্তির একেবারে নিজস্ব বিষয়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি চলবে। সমলিঙ্গে বিয়ের পক্ষে মামলাকারীদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আগেই সমলিঙ্গের সম্পর্ককে বৈধতা দিয়েছে। তাই সমলিঙ্গে বিয়ের অধিকারকে আদালত মান্যতা দিতেই পারে। প্রবীণ আইনজীবী বলেন, বিয়ের ধারণা এখন পাল্টে গিয়েছে। সমাজ এখন আর ১৯২০ কিংবা ১৯৩০ সালে পড়ে নেই। এখন তো সমাজ বিয়ে না করেও একত্র বাসকে মেনে নিয়েছে। বিয়ে করা সকলের অধিকার বলে ঘোষণা করা উচিত। সেই ঘোষণাকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিক।
প্রধান বিচারপতি বলেন, নারী, পুরুষের চিরাচরিত ধারণা আজকের দিনে অচল। কার কী যৌনাঙ্গ রয়েছে, সেটা কোনও বিচার্য বিষয় হতে পারে না। মামলাকারীদের অপর আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী বলেন, একজন ব্যক্তি বিশেষের অধিকারের প্রশ্ন আসল। বিয়ে বিষয়টি সেই অধিকারের মধ্যে পড়ে।