COVID-19 Update | সপ্তাহ শেষে অনেকটা স্বস্তি, এক ধাক্কায় ৫ হাজারে নেমে এল দৈনিক করোনা সংক্রমণ

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক মাস ধরেই ফের একবার চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। হঠাৎ হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে মাসের শেষে সামান্য স্বস্তি করোনা সংক্রমণে। ৫ হাজারের গণ্ডিতে নামল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Minister) তথ্য অনুযায়ী,  দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৭৪ জন। গতকালের থেকে ১৮ শতাংশ কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে সংক্রমিতের সংখ্যা কমায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমেছে। দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯,০১৫।

আক্রান্তের পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।  রবিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪০। আজ তা অনেকটা কমে হয়েছে ২৫ জন। দেশে বর্তমানে দৈনিক পজিটিভিটি রেট রয়েছে ৩.৩১ শতাংশ। আর সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট রয়েছে ৪.২৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৫ জনের মৃত্যুর পর অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৫,৩১,৫৩৩। যদিও স্বস্তি দিচ্ছে বর্তমানে সুস্থতার হারও। দেশে বর্তমানে সুস্থতার হার রয়েছে ৯৮.৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন:Gas Leak | Ludhiana |  কারখানায় গ্যাস লিকে মৃত ১১, অসুস্থ বহু

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ-বৃদ্ধির নেপথ্য়ে রয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এছাড়াও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, ওমিক্রনেরই আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.15 (ক্র্যাকেন)।এই আবহেই গত বুধবার হাইকোর্টে প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, কলকাতা হাইকোর্টে ফের লাগু হতে চলেছে করোনা বিধি। নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ এবং নতুন করে করোনা বিধি মেনে সকলকে কাজ করার পরামর্শ দেন। মানুযের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার অনিহা তৈরি হয়েছে ফলে নষ্ট হচ্ছে অনেক টিকা। রাজ্যগুলিকে টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চালাতে। একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বয়স্ক মানুষ, শিশু, কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত, অন্তঃসত্তাদের ভিড় এড়িতে চলতে। সামাজিক দূরত্ববিধির পাশাপাশি, মাস্কের ব্যবহারে জোর দিতে।