মহারাষ্ট্র: বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারায় ২৭৫ জন। আহতের সংখ্যাটা হাজারেরও অধিক। বহু মৃহদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। চারদিকে হাহাকার। সেই আতঙ্কের রেশ এখনও কাটেনি। এরমধ্যেই ফের লাইনচ্যুত হল ট্রেন। এবার মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বেলাইন (Derailed) হল একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যদিও কোনও হতাহতের খবর নেই।
জানা গিয়েছে, ওডিশার রেল দুর্ঘটনার পরদিনই অর্থাৎ গত শনিবার মহারাষ্ট্রের মাথেরান স্টেশনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ জুম্মা পট্টি স্টেশনে একটি টয় ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকা খুলে গিয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি ঘটে। এর ফলে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনের একাধিক বগি। ঘটনাটি ঘটে মুম্বই থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মাথেরান স্টেশন থেকে এই টয় ট্রেনটি বিকেল ৪টে নাগাদ ছেড়েছিল। গন্তব্য ছিল নেরাল স্টেশন। ট্রেনটিতে সর্বমোট ৯০ থেকে ৯৫ জন যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে আধিকারিকরা। কোনও যাত্রী এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হননি বলে খবর।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলকর্মীরা। দ্রুত বগি থেকে বের করে আনা হয় যাত্রীদের। তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে গাড়ি করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ওইদিন রাত ৯টা নাগাদ এই লাইনে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। মাথেরান থেকে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নেরাল স্টেশনে পৌঁছয় টয় ট্রেন।
এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে মাথেরান এবং নেরাল স্টেশনের মাঝে একাধিক টয় ট্রেন বাতিল করা হয়। যে যাত্রীরা এই বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রেলের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, সাধারণত টয় ট্রেন অত্যন্ত কম গতিতেই চলে। প্রতিটি ট্রেনেই একজন করে রেলকর্মী থাকেন। কোনওক্ষেত্রে রেলেগ বগি লাইনচ্যুত হলে টেকনিশিয়ানদের সাহায্যে সেগুলিকে আবার ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
এদিকে, বর্ষার সময় মাথেরান এবং নেরাল স্টেশনে টয় ট্রেন পরিষেবা বাতিল থাকবে। যাত্রী নিরাপত্তার কারণেই বর্ষার সময় এই পাহাড়ি এলাকার রুটে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকে। কিন্তু, ট্রেন চলে মাথেরান এবং আমন লজ স্টেশনের মধ্যে। এই স্টেশনটি দাস্তুরি পয়েন্টের একদম নিকট। বর্ষার সময় এই এলাকার পর আর ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।