কলকাতা: আরএসএসের (RSS) মুখপত্র হিসেবে পরিচিত ‘অর্গানাইজার’ (Organizer) সাপ্তাহিকের সম্পাদকীয়তে ঘুরিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘দক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল। কর্নাটকে বিজেপির হার নিয়ে আরএসএসের মুখপত্র বলছে, ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপি দুর্নীতির পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে, যা ভোটাররা ভালোভাবে নেননি।
অর্গানাইজারের প্রশ্ন নরেন্দ্র মোদির দু’টি স্লোগান নিয়ে। বলা হয়েছে, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, এই ক্ষয়ে যাওয়া স্লোগান আর কাজ করছে না। একই ভাবে মোদি ম্যাজিকও যে কাজে লাগছে না কর্নাটকের ভোটের ফলাফলে তা বোঝা গিয়ছে। ওই মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভোটে জেতার শুধু নরেন্দ্র ‘মোদির ক্যারিশ্মা’ বা প্রভাব এবং হিন্দুত্বই যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: Train Accident | Maharashtra | ফের রেল দুর্ঘটনা, ইঞ্জিনের চাকা খুলে লাইনচ্যুত ট্রেন
আরএসএস যদিও কর্নাটকের ভোট প্রসঙ্গে এই কথাগুলো সামনে এনেছে, তবে এর মধ্যে নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে একটা সাধারণ বার্তা স্পষ্ট। কর্নাটকে ২০১৮ সালের তুলনায় এবার ভোট শতাংশ প্রায় একই থাকলেও বিজেপি যে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভোটে হেরে, সম্ভবত সেটাই সঙ্ঘ পরিবার বিজেপির শীর্ষ নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিল। অর্গানাইজারের সতর্কবার্তা, শুধু হিন্দুত্ব আর চমক দিয়ে আখেরে লাভ হবে না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক চেষ্টা সত্ত্বেও যে কর্নাটকে বিজেপি ফের ক্ষমতা দখল করতে পারল না, এটাই চিন্তায় ফেলেছে হিন্দুত্ববাদীদের। সেই চিন্তাই উঠে এসেছে অর্গানাইজারের সম্পাদকীয়তে।
সম্পাদকীয়তে এও বলা হয়েছে, ডেলিভারি সিস্টেম আরও উন্নত করতে হবে। সরকারের ভালো কাজের সুফল মানুষের কাছে ঠিকঠাক পৌঁছল কি না, তাও নিশ্চিত করত হবে। সঙ্ঘ পরিবারের মুখপত্রে এ কথা বলার অর্থ, অবশেষে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনও মানছে, রুটি, কাপড়, মকান ছাড়া শুধু ধর্ম দিয়ে বেশি দিন ভোটে জেতা চলবে না। ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে যে গরিব মানুষের একটা প্রতিরোধ তৈরি হচ্ছে, তা কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে মুখপত্রে। একই সঙ্গে ভোটে জিততে বিজেপিকে আজ দুর্নীতির পক্ষে দাঁড়াতে হচ্ছে এবং মোদিকেই সে ব্যাপারে প্রচারেও নামতে হয়েছে, ঘুরিয়ে সে কথাও মেনে নেওয়া হয়েছে অর্গানাইজারের সম্পাদকীয়তে।