মঙ্গলকোট: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত মঙ্গলকোট। এর জেরে নতুনহাটে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা মারল পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকার তৃমমূল কর্মীরা নিজেদের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অনুগামীরা শুক্রবার সকালে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের পার্টি অফিস থেকে বার করে দখল নেয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার বিধায়কের।
এদিন সকাল ৭টা নাগাদ মঙ্গলকোটের নতুনহাট পার্টি অফিস খুলে পরিষ্কার করছিল ২ দুজন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, এরপর মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিম মল্লিকের নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী এসে পার্টি অফিসে বসে থাকা স্থানীয় কর্মীদের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপর শুরু হয় বচসা। খবর প্রকাশ হতেই একে একে যুক্তি শুরু করে এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এরপর রহিমের অনুগামীরা স্থানীয় কর্মীদের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এমনকী লোহার রড ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করার অভিযোগ করেন স্থানীয় তৃণমূল নেত। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্ত সরকারের ও তাঁর প্রাণহানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় শেষ মেট্রো রাত ১১টায়
খবর যায় ঢিলছোরা দূরত্বে থাকা মঙ্গলকোট থানায়। থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। দুপক্ষের অভিযোগ শুনে মোতায়েন করে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্র বাহিনী। তালা মারা হয় ওই পার্টি অফিসে। এরপর পার্টি অফিস থেকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা বেরিয়ে যায়। গাছ তলায় তাঁরা বসে পড়ে। এলাকার স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জানান, জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং আগামী দিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বিষয়টি জানানো হবে।
অপরদিকে এলাকার বিধায়ক যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। তৃণমূল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। ভোটের ফলাফল বেরোনোর আগেই মঙ্গলকোট উত্তপ্ত হওয়ায় চিন্তিত জেলা নেতৃত্ব।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: