মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী হেড কোচ নির্বাচন নিয়ে ডামাডোল চলছেই। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে উঠে আসছে অনেকের নাম। দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং (Ricky Ponting) স্বীকার করেন, এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে অল্পস্বল্প কথাবার্তা হয়েছে। ভারতের কোচ হওয়ার আগ্রহ তাঁর আছে কি না, তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এটুকুই। কিন্তু আজ শুক্রবার বিসিসিআই (BCCI) সচিব জয় শাহ (Jay Shah) জানিয়ে দিলেন, কোচ পদের জন্য কোনও অস্ট্রেলিয়ানকে প্রস্তাব দেননি তাঁরা। বলা বাহুল্য, তাঁর এই বক্তব্যে পন্টিংয়ের কথা অসত্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে অমিত শাহের পুত্র বলেন, “আমি বা বিসিসিআই, কেউই কোনও প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারকে ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি। কিছু সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে যেসব খবর ছড়াচ্ছে তা একেবারেই ভুল। ভারতীয় দলের কোচ নির্বাচন সূক্ষ্ণ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ পদ্ধতি। ভারতীয় ক্রিকেটের কাঠামো গভীরভাবে বোঝে এবং নীচ থেকে উপরে উঠেছেন এমন কাউকে নির্বাচন করা আমাদের লক্ষ্য। তার আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ধাঁচা বোঝা এবং ভারতীয় দলকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুন: অসীম লজ্জা, আমেরিকার কাছে সিরিজও খোয়াল বাংলাদেশ
বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ এ বছর জুন মাস পর্যন্ত। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন করে আর আবেদন করবেন না। কোচ পদের কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিতে গিয়ে জয় শাহ জানিয়েছিলেন, বিদেশি কোচও নেওয়া হতে পারে। এরপর থেকে নাম ভেসেছে সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং (Stephen Fleming), সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আইপিএল জয়ী কোচ টম মুডি (Tom Moody), কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir), রিকি পন্টিং এবং এমনকী মাহেলা জয়বর্ধনেরও। প্রত্যেকের কাছেই বিসিসিআই তাঁদের আগ্রহ জানতে চেয়েছে বলে জল্পনা উঠেছে।
পন্টিংয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি জল্পনা নয়, সত্যি বলে জানা যায়। তিনি বলেন, “আমি এ নিয়ে প্রচুর রিপোর্ট দেখেছি। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ভেসে ওঠে আমরা কিছু জানার আগেই। কিন্তু এক্ষেত্রে আইপিএল চলাকালীন কিছু কথাবার্তা হয়েছে। আমি আদৌ আগ্রহী কি না সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল।”
দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এরপর বলেন, “একটা জাতীয় দলের সিনিয়র কোচ হতে আমার দারুণ লাগত। কিন্তু অন্য বেশকিছু বিষয়ে জড়িয়ে আছি, এবং পরিবারকে বেশি করে সময় দেওয়াও আছে… সবাই জানে ভারতীয় দলের কোচ হলে আইপিএল টিমের সঙ্গে থাকা যাবে না। তাছাড়া জাতীয় দলের কোচ হওয়া মানে বছরে ১০-১১ মাস কাজের মধ্যে থাকা। এই মুহূর্তে আমার লাইফস্টাইলের সঙ্গে খাপ খাবে না।” এখন বোর্ড সচিব এই তথ্যকেও খারিজ করে দিলেন।
দেখুন অন্য খবর: