ইম্ফল: মণিপুরের (Manipur) হিংসার (Violence) ঘটনায় এবার সিট (Sit) গঠনের উদ্যোগ নিল সেখানকার রাজ্য সরকার। সোমবার মণিপুর সরকার (Government) জানিয়েছে, তারা জেলা ভিত্তিক ৬টি সিট গঠন করবে। ছয়টি জেলার জন্য তা করা হবে। সেখানে সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা থাকবেন সিটে। মহিলা অফিসারদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করা হবে। এদিকে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, তারা ১১টি এফআইআরের তদন্ত করবে। তার মধ্যে মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনার তদন্ত (Investigation) করবে তারা। সেরকম কোনও ঘটনা পেলে রাজ্য সরকার তা সিবিআইকে হস্তান্তর করবে।
ইন্ডিয়া (Indian National Developmental Inclusive Alliance) জোটের সাংসদদের দ্বিতীয় টিম ২৯ জুলাই মণিপুরে চূড়াচাঁদপুর জেলায় ডন বস্কো স্কুলে (Churachandpur) একটি ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখে। সেসময় কংগ্রেস (Congress) সাংসদ (MP) গৌরব গগৈ কেন্দ্রীয় সরকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে করা দাবিকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, শান্তি (Peace) প্রতিষ্ঠা হলে এখনও মানুষ কেন ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন? তাঁরা ঘরে ফিরতে পারছেন না কেন? গগৈ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব দলের প্রতিনিধি নিয়ে মণিপুরে এলে আমরা তাঁর সঙ্গী হতে রাজি। তবে এই ঘটনায় বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ ছাগ বিরোধীদের এই যাওয়াকে কটাক্ষ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইডি আমার বিরুদ্ধে বানানো গল্প খাওয়াচ্ছে মিডিয়াকে, বিদেশ থেকে টুইট অভিষেকের
মণিপুরে (Manipur) ২০ জন সাংসদের এই টিমে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষের সাংসদই রয়েছেন। মণিপুরের রাজ্যপাল অনসূয়া উইকে-র সঙ্গে দেখা করল আইএনডিআইএ-র ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। রাজ্যপালকে তাঁরা একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন। রাজ্য ঘুরে বিরোধী জোটের সংসদীয় প্রতিনিধিরা কী দেখলেন তা ব্যাখ্যা করেন রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, রাজ্যপাল নিজেও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। গত দুদিনে আমরা যা দেখেছি তা তাঁর কাছে জানিয়েছি। কুকি ও মেইতি সহ রাজ্যের সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে শান্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল।