ঝাড়খণ্ড: বিধায়ক কেনাবেচা এড়াতে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের জেএমএম এবং কংগ্রেস বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল কংগ্রেস শাসিত ছত্তীশগড়ে। সূত্রের খবর, সরকার ভাঙার জন্য বিজেপি এমএলএ কিনতে ময়দানে নেমে পড়েছে। তাই মঙ্গলবার তড়িঘড়ি জোটের বিধায়কদের রাঁচি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়ি থেকে দুটি বিলাসবহুল বাসে করে বিধায়কদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশের কনভয়। রাঁচি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিল একটি চার্টার্ড বিমান। রাঁচি বিমানবন্দরের একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছেন। সূত্রের খবর, ছত্তীশগড়ের রায়পুরে মেফেয়ার হোটেলে বিধায়করা থাকবেন।
হেমন্ত বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। রাজনীতিতে এসব হয়েই থাকে। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। গত শনিবার থেকে বিধায়কদের রাঁচি ছাড়া নিয়ে জল্পনা চলছে। ওইদিন হেমন্ত এবং ৪৩ জন বিধায়ক ব্যাগপত্তর নিয়ে রাঁচি থেকে ৩০ কিমি দূরে খুন্তিতে চলে যান।
আরও পড়ুন: Bishnupur: চাকরি নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, অভিযোগ হাসপাতালের দুই গ্রুপ ডি কর্মীর বিরুদ্ধে
হেমন্তের বিরুদ্ধে লাভজনক পদের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজের নামে খনি লিজ নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশন তার সুপারিশ পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের কাছে। সূত্র্রের খবর, সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই আবহে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা চায় নৈতিক কারণে মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে নতুন করে ভোট করুন। বল এখন রাজ্যপালের কোর্টে।
এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জোটের বিধায়ক সংখ্যা ৪৯। জেএমএম দলের ৩০ জন বিধায়ক, কংগ্রেসের রয়েছেন ১৮ জন এবং আরজেডির আছেন একজন বিধায়ক। প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৬। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী মিথিলেশ ঠাকুর দাবি করেন, স্পিকারকে নিয়ে জোটের বিধায়ক সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে ৫৬ হয়ে যেতে পারে। তাঁর আরও দাবি, তাঁরা রিসর্ট রাজনীতি শিখেছেন বিজেপির থেকেই।