গুয়াহাটি: অসমের দরং জেলার সিপাঝারে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই স্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ২৩ সেপ্টেম্বর বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই গ্রামবাসীর। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে জখম হন ১১ জন পুলিশ কর্মী।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন ছানুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি শান মাহমুদ এবং বাজনাপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি হাসমত আলি। তাঁরা বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে উচ্ছেদ অভিযানে হিংসা ছড়ায়, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অসমে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের হঠাতে অভিযান, নির্বিচারে গুলি পুলিশের, মৃত ২
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উচ্ছেদ অভিযানের সময় পুলিশকে আক্রমণ করার কথা বলে জনগণকে উস্কানি দেওয়ার জন্য রবিবার রাতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা ওই এলাকায় হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী। যার কারণে দুজন ব্যক্তি মারা গিয়েছিল এবং ১১ জন পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল।
শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, অসম হিংসার নেপথ্যে রয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা পিএফআইয়ের হাত। এই ঘটনায় সক্রিয় মদতের জন্য ৬ জন সন্দেহভাজন পিএফআই সদস্যের নাম জানতে পেরেছে তাঁর সরকার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিএফআই।
আরও পড়ুন: Assam: দখলকারীদের উচ্ছেদে বুক লক্ষ করে গুলি, অসমের ঘটনায় নেপথ্যে কে?
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই এলাকায় প্রতিটি মানুষকেই ২৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে উস্কে দিতে পিএফআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ তোলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গোটা ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের করছে অসম সরকার।