সিমলা: হিমাচলের বিধানসভার গেটে খলিস্তানি পতাকা টাঙানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর৷ ওই ঘটনায় নিষিদ্ধ একটি শিখ সংগঠনের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস৷ শিখ ফর জাস্টিস নামে ওই সংগঠনের নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনের বিরুদ্ধে তাই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ ভারত বিরোধী নানা কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৯ সালে তাঁর সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিল্লি৷
ঘটনার পরই গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনের তরফে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ্যে আনা হয়৷ তাতে দাবি করা হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মান্ডির জনসভায় খলিস্তানি পতাকাগুলি শিখ কর্মীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল৷ ওই কর্মী পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের সঙ্গে কেজরির জনসভায় গিয়েছিলেন৷ ওই ভিডিয়ো বার্তায় পান্নুন দাবি করেছেন, ‘কেজরিওয়াল ও মানের কথায় প্রভাবিত হয়ে পঞ্জাব নির্বাচনে খলিস্তানপন্থীরা ৬ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন৷ ৬ জুন সংগঠনের একটি সভা রয়েছে৷ পান্নুন দাবি করেছেন, হিমাচলের বিধানসভায় খলিস্তানি পতাকা ঝুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হয়েছে৷ হিমাচল আবার পঞ্জাবের অংশ হবে৷ ওই সভায় সেই দাবি তোলা হবে৷
রবিবার হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা গেটের বাইরে বেশ কিছু খলিস্তানি পতাকা দেখতে পাওয়া যায়৷ তার জেরে বেআব্রু বিধানসভা চত্বরের নিরাপত্তা৷ পুলিসের ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগকে খলিস্তানপন্থীরা কাজে লাগিয়েছে বলে মত স্থানীয়দের৷ বিধানসভার মূল গেটের বাইরে একাধিক খলিস্তানি পতাকা এবং খলিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান লেখা দেখতে পান প্রাতঃভ্রমণকারীরা৷ তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিস পতাকাগুলি গেট থেকে খুলে দেয়৷ মুছে ফেলা হয় স্লোগানগুলি৷ পুলিসের অনুমান, রাতে কেউ পতাকাগুলি গেটের বাইরে লাগিয়ে দিয়ে যায়৷ এই ঘটনায় পুলিসি নজরদারিতে বড়সড় গাফিলতি ধরা পড়েছে৷ প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা গেটের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকলে এই ঘটনা ঘটত?
আরও পড়ুন: Covid Updates Inddia: দেশে সামান্য কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বেড়েছে সুস্থতার হারও