কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: স্যাটের (সিকিউরিটিজ অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল) রায়ে স্বস্তি মিলল এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতা রাধিকা এবং প্রণয় রায়ের। ওই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০০৯-২০১০ সালে তাঁরা ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে এনডিটিভির উপর কর্তৃত্ব কায়েম করেছেন। স্যাট তার রায়ে বলেছে, রাধিকা-প্রণয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত। তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।
স্যাট বলছে, সাক্ষ্যপ্রমাণে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে ওই অভিযোগের কোনও সারবত্তা মেলেনি। স্যাটের মতে, যে পদ্ধতিতে এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতারা ঋণ নিয়েছেন, তা পুরোপুরি বৈধ। তাঁদের সংস্থা এবং বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল প্রাইভেট লিমিটেড (ভিপিসিএল) নামে একটি সংস্থার মধ্যে লেনদেন হয়েছিল। এতে এনডিটিভিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও ব্যাপারই ছিল না। ঋণচুক্তির ভাষাতেও পরিষ্কার বোঝা যায়, ভিসিপিএল সংস্থা এনডিটিভিকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কোনও লেনদেন করেনি।
আরও পড়ুন: লোকসভায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল পেশ করলেন চার সন্তানের বাবা রবি কিষান
স্যাট রায় দিতে গিয়ে ২০১৯ সালে সেবির নির্দেশকেও খারিজ করে দিয়েছে। সেই সময় সেবি বলেছিল, এনডিটিভি সিকিউরিটিজ মার্কেটে অংশ নিতে পারবে না এবং দুই প্রতিষ্ঠাতা সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসতে পারবেন না। স্যাট বলেছে, সেবির এই নির্দেশও অবৈধ। ওই লেনদেনের ক্ষেত্রে যখন প্রতারণা বা জালিয়াতির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তখন সেবির নির্দেশ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
তবে এনডিটিভি ২০০৯-২০১০ সালে ওই ঋণচুক্তির কথা গোপন করায় স্যাট এনডিটিভির দুই প্রতিষ্ঠাতাকে ৫ কোটি টাকা এবং সংস্থাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। যদিও তারা বলেছে, এটা কোনও অবৈধ কাজ নয়। এর সঙ্গে প্রতারণারও কোনও সম্পর্ক নেই।
 রায়ে স্বস্তি মিলল এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতা রাধিকা এবং প্রণয় রায়ের। ওই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০০৯-২০১০ সালে তাঁরা ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে এনডিটিভির উপর কর্তৃত্ব কায়েম করেছেন। স্যাট তার রায়ে বলেছে, রাধিকা-প্রণয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত। তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।){kind=link}