কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : নৃত্য শিল্পী তথা অভিনেত্রী সুধা চন্দ্রন ইন্সটাগ্রামে সরব হয়েছেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষমা CISF (Central Industrial Security Force) কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সুধা চন্দ্রন নিজের ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তিনি বলেন, যখনই তিনি পেশাদার ভ্রমণের কারণে বিমানবন্দরে পৌঁছান, তখন প্রতিবারই তাঁকে নিরপাত্তার কারণে তল্লাশি করা হয়। আর প্রতি বার মানা করার সত্ত্বেও তাঁকে পরীক্ষার কারণে নিজের কৃত্রিম পা খুলতে বলা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইন্সটাগ্রাম ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজন থেকে শুরু করে তাঁর সহকর্মী প্রত্যেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। এর পরেই ক্ষমা চায় CISF (Central Industrial Security Force) কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। দুটি টুইট করা হয়। তাদের অফিসিয়াল টুইটার থেকে প্রথমে টুইট করে ক্ষমা চাওয়া হয়। বলা হয়, ‘সুধা চন্দ্রনের এই ধরণের অসুবিধার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। প্রোটোকল অনুযায়ী, শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেই পরীক্ষার জন্য প্রোস্টেটিক্স অর্থাৎ কৃত্রিম অঙ্গ অপসারণ করা হয়।’
আরও পড়ুন – কৃত্রিম পা খুলে বিমানবন্দরে তল্লাশি, হেনস্থা করা হয়েছে বলে মোদিকে লিখলেন নাচে ময়ূরী
দ্বিতীয় টুইটে জানানো হয়, ‘সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্মী যারা মিসেস সুধা চন্দ্রনকে প্রোসথেটিকস অপসারণের অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা যেন এই কাজ করেছিলেন তা আমরা খতিয়ে দেখব। আমরা মিসেস সুধা চন্দ্রনকে আশ্বস্ত করছি যে আমাদের সকল কর্মীদের প্রোটোকলের বিষয়ে আরও সংবেদনশীল হবে যাতে যাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয়।’
We will examine why the lady personnel concerned requested Ms. Sudhaa Chandran to remove the prosthetics. We assure Ms.Sudhaa Chandran that all our personnel will be sensitised again on the protocols so that no inconvenience is caused to travelling passengers. 2/2
— CISF (@CISFHQrs) October 22, 2021
নিজের ইন্সটাগ্রাম ভিডিওতে ঠিক কী বলেন তিনি ?
তিনি জানান, ‘এটি একটি খুব ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে বলতে চাই, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও একটি আবেদন, আমি সুধা চন্দ্রন, পেশায় একজন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী যে কৃত্রিম অঙ্গ দিয়ে নৃত্য করে নিজের দেশকে একসময় তিনি উপস্থাপনা করেছি। গর্বিত করেছি নিজের দেশকে। তাঁর পরেও বিমানবন্দরে এহেন ব্যবহার করা হয়। মানা করলেও তাতে আমল দেয় না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অথচ এটার কী কোনও প্রয়োজন আছে ?’ এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিনিয়র সিটিজেন কার্ডের আর্জি জানান। যাতে এই ধরণের সমস্যা আর বিমানবন্দরে না হয়। এরপরেই তড়িঘড়ি ক্ষমা চায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।