বেঙ্গালুরু: মঙ্গলবার এসেছিল মৃত্যু সংবাদটা৷ রুশ শেলিংয়ে ইউক্রেনের খারকিভে প্রাণ হারায় ভারতের পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগৌদার৷ পাঁচদিন হতে চলল৷ এখনও ছেলের দেহ হাতে পায়নি পরিবার৷ নবীনের বাবা-মা কর্নাটক ও কেন্দ্রের সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেছেন ছেলের দেহ ইউক্রেন থেকে ফিরিয়ে আনার৷ কিন্তু যুদ্ধ-ধ্বস্ত দেশ থেকে দেহ ফিরিয়ে আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে ভারত সরকারকে৷ শনিবার নবীনের পরিবারকে আশ্বস্ত করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানান, সব চেষ্টাই চলছে নিহতের দেহ ভারতে ফেরানোর৷
ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতের জেরে ইউক্রেনে আটকে পড়ে ভারতের হাজার হাজার পড়ুয়া৷ কেউ আশ্রয় নেয় বাঙ্কারে, কেউ মেট্রো স্টেশনে৷ গত মঙ্গলবার খাবার কিনতে বের হয়েছিলেন নবীন৷ কিন্তু রুশ শেলিংয়ে প্রাণ হারান৷ এই প্রথম ইউক্রেনে মৃত্যু হয় এক ভারতীয় পড়ুয়ার৷ এছাড়া কিভের হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা চলছে দিল্লির এক পড়ুয়ার৷ প্রাণ বাঁচাতে হাড় হিম ঠান্ডায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়ুয়ারা নিজেদের উদ্যোগে ১০-১২ ঘণ্টা হেঁটে পৌঁছচ্ছেন সীমান্তে৷ ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের উপর সব ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা৷ জানান, দূতাবাস নির্দেশ দিয়েই খালাস৷ পড়ুয়ারা কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন এব্যাপারে কোনও সহায়তাই করা হচ্ছে না৷ সীমান্তে পৌঁছনোর পরেও যাবতীয় সাহায্য মিলছে৷ কিন্তু ইউক্রেনের ভিতর দূতাবাসের কোনও সাহায্য মিলছে না৷
পড়ুয়াদের দুর্ভোগের কথা মেনে নিয়ে বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, ‘খারকিভ এবং কিভের পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়৷ তবে আটক পড়ুয়াদের খোঁজ চালাচ্ছে ভারতের দূতাবাস৷ অনেক কন্নড়ভাষীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ বিদেশমন্ত্রী এবং ইউক্রেনের ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি৷’ তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের জলসম্পদমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে মিটিং সেরে নবীনের বাবার সঙ্গে দেখা করবেন৷