কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিদেশী মুদ্রা আইন ভঙ্গ করেছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। সেই অভিযোগেই এবার ওই ই-কমার্স সংস্থাকে ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার শো-কজ নোটিশ ধরাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ফ্লিপকার্ট ছাড়াও আরও নটি সংস্থাকে পাঠানো হয়েছে নোটিশ। গত জুলাইতে ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে এই অভিযোগটি তোলা হয় সচিন বানসাল ও বিন্নি বানসাল প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স সংস্থাটির বিরুদ্ধে।
ফ্লিপকার্ট ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। সেই তালিকার মধ্যে রয়েছে একটি সিঙ্গাপুরের সংস্থাও। অভিযোগ ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ফেমা’ ভঙ্গ করে সংস্থাগুলি।
অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই এই নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির তরফে জানানও হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানবাদ বিচারপতি মামালার দায়িত্বভার নিল সিবিআই
‘ফেমা’র অধীনে এই গোটা বিষয়টির বিচার চলবে বলে তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও বিচারে আইনতভাবে দোষী সাব্যস্ত হলে ফ্লিপকার্টকে বর্তমানের তিনগুন অর্থ ব্যায় করতে হতে পারে। এমনটাই মনে করছে দেশের শিল্পমহল। যদিও তদন্তে সমস্তরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ফ্লিপকার্ট।
আরও পড়ুন: ই-সিম ব্যবহার করে অভিনব ব্যাঙ্ক জালিয়াতি,তদন্তে পুলিশ
যদিও ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে ফেমা ভঙ্গের এই অভিযোগ ওঠে ২০১২ সালে। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন, রিলায়েন্সের জিও-মার্ট সহ একাধিক তাবড় সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় গত কয়েক বছরে যথেষ্টই নাম কুড়িয়েছে বানসাল ব্রাদার্সদের এই ফ্লিপকার্ট। ইতিমধ্যেই দখল করেছে ভারতের বিপুল বাজার।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় মার্কিন বহুজাতিক ওয়ালমার্ট।