ওয়েব ডেস্ক: টাকে চুল গজানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ ক্লিনিককে ৬.৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল ক্রেতা সুরক্ষা আদালত (Consumer Court)। পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করেও এক শতাংশ উন্নতি হয়নি। অথচ সংস্থাটির লাইসেন্স নেই, কোনও নীতিবোধ নেই, রয়েছে স্রেফ অবহেলা। এমন অভিমত সহ ১১ বছরের পুরনো মামলার নিষ্পত্তি করে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিককে (Hair Transplant Clinic) ৬.৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল্লির ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের।
বেআইনি কসমেটিক সার্জারির (Cosmetic Surgery) রমরমা সারা দেশেই চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি সরকারি লাইসেন্স ছাড়াই চলে বলে অভিযোগ। তাই ডিএইচআই এশিয়ান রুটস নামে চলা হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে ওই আদালতের এমন নির্দেশ দৃষ্টান্তমূলক বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেরামতি সম্ভব নয়, এয়ারলিফ্ট করেই দেশে ফিরছে ব্রিটেনের যুদ্ধবিমান
বিয়ের আগে আপন সৌন্দর্য বৃদ্ধির তাগিদে বিবেক কুমার নামে এক ব্যক্তি ২০১২ সালে সফদরজং এনক্লেভে ওই ক্লিনিক-এর দ্বারস্থ হন। ১২ মাসের মধ্যে তাঁর টাকের চেহারা সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে প্রতিশ্রুতিদান ওই সংস্থার। কিন্তু তিনবার সিটিং দেওয়া সত্ত্বেও টাকের হাল একই। এক শতাংশও বদলায়নি টাকের চেহারা। আরও কিছুদিন অপেক্ষার পর তিনি ওই আদালতের দ্বারস্থ হন।
মোটা টাকা নিলেও অভিযোগকারীকে উপযুক্ত পরিষেবা দিতে ব্যর্থ ওই ক্লিনিক। চুল বসিয়ে টাকের চেহারা বদলানোর চেষ্টার জেরে নতুন করে টাকের এলাকা বৃদ্ধি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চুল প্রতিস্থাপন চিকিৎসা দেওয়ার উপযোগী কোনও সরকারি লাইসেন্স সংস্থাটির নেই। ফলে এই উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষে অসৎ মেডিক্যাল ব্যবসা। তাই স্পা যোগা প্রাইভেট লিমিটেডের অংশ হিসেবে চলা ওই ক্লিনিককে কুমারের পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি মানসিক হেনস্থা করার দায়ে এক লক্ষ টাকা এবং মামলার খরচ হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
দেখুন অন্য খবর: