নয়াদিল্লি: ফের উদ্বেগের কারণ হয়ে দেশের দৈনিক করোনা (Corona) পরিস্থিতি। গত বছরের শেষ দিক থেকেই দেশে একেবারে কমে গিয়েছিল কোভিড (Covid 19) সংক্রমণ। সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরে লাগাতার বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Ministry of Health) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৮৩০ জন। যদিও শনিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজারের কাছাকাছি। রবিবার সেই সংখ্যাটা কমলেও এতে আত্মসন্তুষ্টির অবকাশ নেই বলে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বর্তমানে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০,২১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।পজিটিভিটির হার (Positivity Rate) ১৬.০৯ শতাংশ। ভারতে ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, রাজধানী দিল্লিতেই গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৯ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪১৬। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ শূন্যতে পৌঁছেছিল। দিল্লিতে পজিটিভিটি হার পৌঁছেছে ১৬.০৯ শতাংশে। যদিও সংক্রমণ মাত্রাছাড়া না হওয়ায় চিকিৎসা পেতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তাদের। ৮৭ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন রয়েছেন আইসিইউ-তে। ৩৩ জনের অক্সিজেনের সাপোর্ট লাগছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ৩ জন এবং দিল্লি, কেরল, কর্নাটক ও রাজস্থানে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন:Kerala Train Fire | চলন্ত ট্রেনে সহযাত্রীর গায়ে পেট্রোল, আগুনে পুড়ে মৃত ৩
দিল্লির কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার তৈরি রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকও করেছেন তিনি। জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাসের XBB.1.16 রূপভেদ দিল্লির এই কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। অধিকাংশ আক্রান্তই করোনাভাইরাসের এই রূপে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে নয়া গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে কথায় কথায় মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে চলবে না। ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলেই শুধু রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রে প্যারাসিট্যামলের উপরই আস্থা রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।