ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার বাড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়। এই খবরে শোরগোল পড়ে। অভিযোগ আগুন নেভাতে গিয়ে দমলকর্মীরা ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেন। বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মা (Yashwant Verma) তাঁর বাড়িতে নগদ (Cash) টাকা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, তাঁর বাড়ি থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত চলছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁকে অভিযুক্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র (Conspiracy) চলছে। বিচারপতি ভার্মার জবাব ও দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রিপোর্ট, দিল্লির পুলিশ কমিশনারের দেওয়া ছবি ও ভিডিও সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে শনিবার রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। বিচারপতি ভার্মা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিচারপতি ভার্মা জানিয়েছেন, যে স্টোর রুমে আগুন লেগেছিল সেটি তাঁর বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন। স্টোর রুমে কোনও টাকা রাখা ছিল না। বিচারপতি ভার্মার জবাব ও দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দেওয়া রিপোর্ট দেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তিন সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। একইসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বলা হয়েছে, বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মাকে যেন কোনও বিচারবিভাগীয় কাজ না দেওয়া হয়।
বিচারপতি বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি স্টোর রুমে কোনও টাকা রাখা হয়নি। আমি রাখিনি। আমার পরিবারের কেউ রাখেননি। আমার নগদ টাকা রেখেছি, এই ধারণা পরিকল্পিত নকশা। একজন এমন স্টোর রুমে টাকা রাখতে পারে যেটি সহজে ব্যবহার করা যায়। যা স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে অবস্থিত। আমাদের বসবাসের বাড়ি থেকে ওই এলাকা দেওয়াল দ্বারা বিচ্ছিন্ন। সংবাদমাধ্যমে আমার অবমাননা হওয়ার আগে তাদের তদন্ত করা দরকার। বিচারপতি ভার্মা আরও জানান, ১৪ মার্চ রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর কন্যা ও বৃদ্ধা মা ছিলেন। তাঁর মেয়ে ও ব্যক্তিগত সচিব দমকলকে খবর দিয়েছিল। ওই ঘর ফার্ণিচার, বোতল, ম্যাট্রেস রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ব্যক্তিগত সচিব পরের দিন সকালে সেখানে যান। তখনও কোনও টাকা ছিল না। গত ডিসেম্বরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ভার্মাকে বিচারবিভাগীয় কাজ না দেওয়া হয়, সুপ্রিম নির্দেশ
দেখুন অন্য খবর: