নয়াদিল্লি: সারা দেশে এনআরসি কার্যকরের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। মঙ্গলবার সংসদে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি চালু করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারল না কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: সুখবর, রাজ্যে এল ৩ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন
এনআরসি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও এনপিআর হচ্ছে জানিয়েছেন নিত্যানন্দ। একটি প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘নাগরিক আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী ২০২১ সালে আদমসুমারির প্রথম ধাপের সঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী সংশোধন করা হবে। বায়োমেট্রিক তথ্য যুক্ত করা ছাড়াও জনবিন্যাসও পরিমার্জিত হবে। কোভিড সংক্রমণের জেরে এনপিআর স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।’
জনগণনার কাজ খুব শীঘ্র শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০১৯-এর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিতর্কের মাঝেই দেশব্যাপী এনআরসি-র প্রসঙ্গ খবরে আসে। বিজেপির ইস্তেহারেও এনআরসি চালুর প্রসঙ্গ স্থান পায়। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমে এনআরসি হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ যথোপযুক্ত তথ্য দিতে না পারায় ৩.৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার নাম বাদ পড়েছিল।
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়া মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে: ব্রাত্য
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এনআরসি কিংবা সিএএ নিয়ে গোটা দেশের মানুষের মধ্যে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। বিরোধী দলগুলিও বারংবার এনআরসি, সিএএ বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। সে কারণেই এনআরসি ইস্যুতে মেপে পা ফেলতে চাইছে মোদি সরকার।