কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরসে (Hathras) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১২১ জনের। সেই ঘটনার পর ১০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে, যাঁর প্রবচনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সেই নারায়ণ সাকার হরি (Narayan Sakar Hari) ওরফে ভোলেবাবা (Bholebaba) ওরফে সূরয পাল সিং (Suraj Pal Singh) এখনও দেখা দেননি। কিন্তু মৃতদের পরিবারবর্গের পাশে এসে না তিনি, না তাঁর সংগঠনের কোনও কর্মী এসে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় কার্যত ফুঁসছে কোনও কোনও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। কেউ কেউ ভোলেবাবাকে ‘জাল’ বলতেও ছাড়ছেন না।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার কেমন আছে, ভোলেবাবাকে তাঁরা এখন কী চোখে দেখেন তা জানাই ছিল উদ্দেশ্য। সেই রিপোর্ট থেকেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: জামিনে স্থগিতাদেশ একমাত্র বিরল মামলাতেই হওয়া উচিত: সুপ্রিম কোর্ট
পদপিষ্ট হয়ে মৃত মুন্না দেবীর ছেলে জানিয়েছেন, ভোলেবাবার কমিটি থেকে কেউ এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি বলেন, বাবার কমিটি থেকে কেউ আসেনি। আমরা আশাই বা কী করতে পারি? ওদের মানবিকতা নেই… আমরা কেমন আছি সেটুকুও জানতে চায়নি। মানবিকতার সম্পূর্ণ মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ওঁর সৎসঙ্গে যাই না। উনি সমাজে অন্ধবিশ্বাস ছড়ান। উনি জাল। যদি ওঁর সামান্যতম মানবিকতা অবশিষ্ট থাকে তাহলে এসে মানুষের সঙ্গে দেখা করুক। মুন্না দেবীর পরিবারের মতোই ক্ষুব্ধ আরও অনেক পরিবার। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছেন, প্রশাসন পাশে দাঁড়িয়েছে, ক্ষতিপূরণের টাকাও পেয়েছেন তাঁরা।
দেখুন অন্য খবর: