নয়াদিল্লি: যন্ত্রের মতো জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত দেশের আদালতের, মন্তব্য করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এও বলা হল, শুধুমাত্র বিরল এবং ব্যতিক্রমী মামলায় একজন অভিযুক্তের অব্যাহতি আটকানো যেতে পারে। বিচারপতি অভয় এস ওকা (Justice Abhay S Oka) এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র (Justice Agustine George Maish) বেঞ্চ বলে, অভিযুক্তের স্বাধীনতা ইচ্ছেমতো খর্ব করতে পারে না আদালত।
আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পরভিন্দর সিং খুরানাকে (Parvinder Singh Khurana) জামিন দিয়েছিল ট্রায়াল কোর্ট। কিন্তু সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন খুরানা। তার শুনানিতেই এই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত। এই মন্তব্যে দেশের হাইকোর্টগুলিকে স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়ে রাখল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: ৭ রাজ্যে ১৩ উপনির্বাচন, NDA vs INDIA কোন সিটে কে এগিয়ে?
দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, আদালত একমাত্র বিরল এবং ব্যতিক্রমী মামলায় জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে পারে, যেমন জঙ্গিদের ক্ষেত্রে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে (পরভিন্দর সিং খুরানার আবেদন) স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে না, এ তো বিপর্যয়। আর্টিকল ২১ যাবে কোথায়? যদি না তিনি জঙ্গি হন তাহলে স্থগিতাদেশ দেওয়ার কারণ কী?
প্রসঙ্গত গত বছরের ১৭ জুন খুরানাকে জামিন দিয়েছিল ট্রায়াল কোর্ট। কিন্তু তাতে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি উচ্চ আদালত। ৭ জুন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় এবং জামিন পান খুরানা।
দেখুন অন্য খবর: