নয়াদিল্লি: সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে রাজধানী দিল্লিকে। ২০ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত রকম ড্রোন, প্যারাগ্লাইডিং, ইউএভিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নামানো হবে অ্যান্টি ড্রোন টিম এবং কুইক রেসপন্স টিমও।
সম্প্রতি গাজিপুরের ফুলবাজারে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ। সেই ঘটনায় পাক-যোগের সন্দেহ করছে পুলিস। তা নিয়েই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে দিল্লি পুলিস। সদ্য পঞ্জাবের বুকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় বিক্ষোভের মুখে পড়ে। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ফিরে যেতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখে রাজধানীর রাস্তায় ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম সহ একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন: Black Fungus: থার্ড ওয়েভেও কি ফিরছে ব্ল্যাক ফাংগাস, মুম্বইয়ে আক্রান্ত সত্তররের বৃদ্ধ
দিল্লির পুলিস কমিশনার রাকেশ আস্থানার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাধারণতন্ত্র দিবসের মুখে রাজধানীতে জঙ্গি হানা বা দুষ্কৃতীদের হামলা হতে পারে। সেই কারণেই দিল্লিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার দীপক যাদব জানান, কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়েই সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে রাজধানীর বুকে। দিল্লির সমস্ত বহুতল বাড়ি ও হোটেলে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
করোনার কথা মাথায় রেখে সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানও হবে সংক্ষিপ্ত। নিমন্ত্রিতের তালিকায় ১৪ হাজার নাম রয়েছে। শিশুদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষের জন্য মাত্র ৪ হাজার টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিস জানিয়েছে। এক কথায়, সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না দিল্লি পুলিস।