মুম্বই: একদিকে ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন, অন্যদিকে ঘুষের অভিযোগ৷ মুম্বই মাদক মামলার তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক গুরুতর অভিযোগ ক্রমেই অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছিল এনসিবি-র অন্দরে৷ শোনা গিয়েছে, প্রমাণ ছাড়াই মাদক মামলায় সেলিব্রিটিদের ‘হেনস্থা’ করার যে অভিযোগ ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে উঠেছে তাতে অসন্তুষ্ট খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ অবশেষে হাই-প্রোফাইল ওই মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সমীর ওয়াংখেড়েকে৷ পরিবর্তে বিশেষ তদন্তকারী টিম বা সিট গঠন করা হয়েছে৷ এখন থেকে সিট ওই মামলার তদন্ত করবে৷
আরও পড়ুন: ‘মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’, সুস্মিতার মৃত্যু, আত্মহত্যা নাকি শেষ বেছে নেওয়ার অধিকার!
মাদক সংক্রান্ত মোট ৬টি মামলার তদন্ত করছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে৷ যার মধ্যে রয়েছে আরিয়ান খান এবং মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের জামাইয়ের মাদক মামলা৷ এই মামলাগুলি এখন তুলে দেওয়া হবে সিটের হাতে৷ যদিও এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বক্তব্য, তাঁকে মাদক মামলা থেকে সরানো হয়নি৷ তিনিই চেয়েছিলেন মামলাগুলি সিবিআই বা এনআইএ-র মত কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করুক৷ এজন্য বম্বে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন৷ তার ভিত্তিতে সিনিয়র এক অফিসারের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বিমান-সূর্যর, দক্ষিণপন্থী সুব্রতর গ্রহণযোগ্যতা ছিল বাম-ডান সবার কাছেই
এনসিপি নেতা নবাব মালিকের একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগের পরই মাদক মামলায় বিতর্কে জড়ান সমীর ওয়াংখেড়ে৷ নবাব মালিকের অভিযোগ, মুসলিম হয়েও ধর্মীয় শংসাপত্রে কারচুপি করে দলিত হিন্দু হিসেবে সরকারি চাকরি জোগাড় করেছেন৷ আরিয়ান খান মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইলের অভিযোগের পর সমীর আরও ফ্যাসাদে পড়েন৷ তাঁর অভিযোগ, আরিয়ান খানকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ১৮ কোটির টাকার লেনদেন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি এবং কে পি গোসাবির (যাঁর সঙ্গে আরিয়ান খানের সেলফি ভাইরাল হয়) সঙ্গে৷ যার মধ্যে সমীর ওয়াংখেড়ের ভাগে পড়ত ৮ কোটি টাকা৷ যদিও ঘুষ কাণ্ডে এনসিবি সমীর ওয়াংখেড়ের পাশে এসে দাঁড়ায়৷ জানিয়ে দেয়, সংস্থার নাম খারাপ করতেই এই ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে৷ সমীর ওয়াংখেড়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন৷