নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতির (President) কাছে ১০টি বিল পাঠিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল (Tamil Nadu Governor)। রাজ্যপালের এমন সিদ্ধান্ত খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এবং জানিয়ে দিল, রাজ্যপালের ভূমিকা যথার্থ নয়।
২০২০ সালের প্রথম বিলটি থেকে শুরু করে ১০টি বিল অনুমোদন না দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের পাঠানোর সিদ্ধান্ত বেআইনি এবং অবাস্তব। তাই তাঁর ওই পদক্ষেপ খারিজ। ওই বিলগুলি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির যে কোনও পদক্ষেপ আইনের চোখে গ্রহণযোগ্য হবে না।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের পরেই জম্মু- কাশ্মীরের রিয়াসিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন
রাজ্যপাল নিজেই বিলগুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত না নিয়ে দীর্ঘদিন বসে থাকার পর পাঠান রাষ্ট্রপতির কাছে। পঞ্জাবের রাজ্যপালের এমনই আচরণের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই বিলগুলি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। রাজ্যপাল এমন পদক্ষেপ করতে পারেন না বলে অভিমত বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা (Justice JB Pardiwala) ও বিচারপতি আর মহাদেবনের (Justice R Mahadevan)।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনও বিল সম্পর্কে সম্পূর্ণ বা আংশিক ভেটো দেওয়ার অধিকার কারও নেই। সংবিধানের আর্টিকল ২০০ অনুযায়ী কোনও বিল সম্পর্কে রাজ্যপাল তিন রকম পদক্ষেপ করতে পারেন। বিলে অনুমোদন দিতে পারেন, অনুমোদন না দিতে পারেন অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রথম সুযোগেই তা পাঠাতে হবে। বিধানসভায় কোনও বিল একের জায়গায় দু’বার অনুমোদিত হওয়ার পরেও তা অনুমোদন না দিয়ে ফেলে রাখার পর রাজ্যপাল তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন না। যদি না দ্বিতীয়বারের বিলটি প্রথমটির পরিপ্রেক্ষিতে আলাদা হয়। এমন অভিমত দিয়ে বিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালদের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
১. অনুমোদন না দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য মন্ত্রীগোষ্ঠীর পরামর্শ নেওয়ার পরে এক মাসের মধ্যে তাঁকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২. রাজ্যের বিরুদ্ধ অভিমতের ক্ষেত্রে কোনও বিল আটকে রেখে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে।।
৩. আটকে রাখা বিল বিধানসভায় নতুন করে তৈরি হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে রাজ্যপালকে অনুমোদন দিতে হবে।
উল্লেখ্য 12টি বিলে অনুমোদন না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ডঃ আর এন রবির বিরুদ্ধে। ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ হয়।
দেখুন অন্য খবর: