নাগপুর: বাতিল হওয়া তিন কৃষি আইন কি ফেরানো হতে পারে? এই মুহূর্তে এই প্রশ্নই জোরালো হয়ে উঠেছে৷ কারণ, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের বক্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে৷ মন্ত্রী জানান, সরকার তিনটি আইন প্রত্যাহার করে এক ধাপ পিছিয়েছে৷ কিন্তু এগতে এই আইনের সংস্কার করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষি সংশোধনী আইন নিয়ে এসেছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও কিছু মানুষ এই আইন পছন্দ করেননি৷ যা আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলাম৷’
এখানেই থামেননি মন্ত্রী৷ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হলেও সরকার কোনও ভাবেই আশাহত হয়নি৷ আমরা একধাপ পিছলেও আমরা নতুন করে করে কারণ, কৃষকরা দেশের মেরুদণ্ড৷ দেশও অনেক শক্তিশালী৷’
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই লোকসভায় পেশ হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল৷ পেশ হওয়ার চার মিনিটের মধ্যে বিলটি পাশ হয়ে যায়৷ এর পর নিম্নকক্ষ থেকে বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যসভায়৷ সেখানেও ধ্বনি ভোটে বিল পাশ হয়ে যায়৷ যদিও বিল পাশ নিয়ে সংসদের ভেতর বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন৷ তাঁরা বিলটির উপর আলোচনা করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু সরকার রাজি না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা৷ হই-হট্টগোলের জেরে কিছুক্ষণের জন্য লোকসভা মুলতবি করে দেওয়া হয়৷ ফের অধিবেশন শুরু হলে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বিলটি পেশ করেন৷ তখন ধ্বনি ভোটে সেটি পাশ হয়ে যায়৷ রাজ্যসভায় খুব অল্প সময় আলোচনা হয়৷
আরও পড়ুন-দেউচা-পাঁচামিতে জোরালো হচ্ছে আন্দোলন, পথে আদিবাসী মহিলারা
এই আইন প্রত্যাহার চেয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা৷ তাঁদের আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করে কেন্দ্র৷ গুরু পরবের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন৷ দেশের কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার কৃষকদের মঙ্গলের জন্য বিলটি নিয়ে এসেছিল৷ এতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা উপকৃত হতেন৷’ প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, কয়েকজন কৃষককে বোঝাতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে৷